বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

তারেকের নির্দেশ মানার অঙ্গীকার বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতাদের

নতুনধারা
  ০৪ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ০৪ জুলাই ২০১৯, ০০:২৩
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন -যাযাদি

যাযাদি রিপোর্ট বিএনপির কার্যালয়ে বিক্ষোভের সময় 'অপ্রীতিকর' ঘটনাবলির জন্য ক্ষমা চেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা। বুধবার দুপুরে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের নিচতলায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন লিখিত বিবৃতি পড়েন শোনান। বিবৃতিতে বলা হয়, 'সম্প্রতি ছাত্রদলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং সংলগ্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাবলি আমাদের ব্যথিত এবং মর্মাহত করেছে। এই ধরনের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সংঘটিত বিষয়ে আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি। 'একইসঙ্গে দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অনুগত থেকে শ্রদ্ধাভাজন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশাবলি পালনে অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।' গত ৩ জুন বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ২০০০ সালের পরের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়। বয়সসীমা উঠিয়ে দেয়ার দাবিতে ১০ জুন থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন ছাত্রদল নেতাকর্মীদের একাংশ। পরদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেন তারা। এরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে তুহিনসহ বিক্ষোভরত ছাত্রদলের ১২ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বাশার সিদ্দিকি, ছাত্রদলের ভেঙে দেয়া কমিটির সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, ইকতিয়ার কবির, জয়দেব জয়, মামুন বিলস্নাহ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন তুষার, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত, আব্দুল মালেক ও সাবেক কমিটির সদস্য আজীম পাটোয়ারি। ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের এ রকম কর্মসূচির মধ্যে গত ২৩ জুন ছাত্রদলের কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের নিয়ে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। ১৫ জুলাই ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও তা বিক্ষোভের কারণে স্থগিত হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সংকট নিরসনে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বসার দায়িত্ব দেন তারেক রহমান। তাদের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পরপরই বিক্ষুব্ধরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি কার্যালয়ে তালা দেয়াসহ সংঘটিত 'অপ্রীতিকর' ঘটনায় জড়িত না থাকার দাবি করেন বহিষ্কৃতরা। লিখিত বিবৃতিতে তুহিন বলেন, 'দলের অনুগত এবং বিশ্বস্ত কোনো কর্মী এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও মনে হচ্ছে না। এলোমেলো পরিস্থিতির কারণে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করি।' বিবৃতিতে বহিষ্কৃত ১২ নেতাসহ ২৬ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বহিষ্কৃতদের বাইরে শামসুল আলম রানা, কাজী মুক্তার, শফিকুর ইসলাম শফিক, আজিজুর রহমান আজিজ, সাইদুর রহমান রয়েল, মাহফুজুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, নাসির উদ্দিন সরকার সাওন ও সুলতান জুয়েলসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে