আজকের যায়যায়দিন

যাযাদি রিপোর্ট নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, 'মুক্তিযুদ্ধে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে। স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস নব প্রজন্মকে জানাতে হবে- তবেই তারা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপস্থিতিতে যুগ যুগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার ইতিহাসের ধারণ ও লালন করে গৌরবময় স্বাধীনতাকে সমুজ্জ্বল রাখতে পারবে।' শনিবার ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্বাধীন বাংলা মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে' মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার, শিল্পী ও গুণিজনদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। স্পিকার বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপসহীন নেতা। দীর্ঘ ২৩ বছর অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে বারবার কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নির্বাসিত হয়েছেন, তবুও মাথানত করেননি।' 'জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে ছিনিয়ে এনেছিলেন বাংলার স্বাধীনতা। বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বসেরা অনন্য সংবিধান। কারও দান কিংবা অনুকম্পা নয়, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলার এই স্বাধীনতা। জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন।' অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউলস্নাহ, শাজাহান খান, নাট্যসংগঠক রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক ইনামুল হক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীতশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, রায়ান বিন মুরাদকে সম্মাননা দেয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা মিঞা মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড সাবেক চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের কল্যাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মহাসচিব আলাউদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, স্বাধীন বাংলা মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় ফাউন্ডেশনের মহাসচিব এ বি এম সুলতান আহমেদ।