শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মশক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি দুই সিটির

নতুনধারা
  ০৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ০৭ জুলাই ২০১৯, ০০:১৪
রক্ত চুষে নিচ্ছে একটি এডিস মশা

যাযাদি রিপোর্ট রাজধানীর মশক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি)। ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া অথবা মশাবাহিত অন্যান্য রোগ নিয়ে এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও দাবি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। পরিস্থিতি যেন খারাপের দিকে না যায় সে জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলেও দাবি তাদের। তবে দাবি যাই হোক, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নিয়েই দুই রকম তথ্য দিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ১৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আর মৃতু্য হয়েছে দুইজন রোগীর। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বলছে, আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৫৯৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা তিনজন। তবে মশক পরিস্থিতি নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকেই কাজ করা হচ্ছে জানিয়েছে দুই করপোরেশন। গত জানুয়ারিতেই ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন মশা নিয়ন্ত্রণে 'অ্যাকশন পস্ন্যান'র অনুমতি দেন বলে জানান ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মার্চ থেকেই জনসচেতনতামূলক কাজ শুরু করা হয়। অন্যদিকে মৌসুমের আগেই বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় অর্থাৎ জুনের আগে মার্চ মাসেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যাওয়ায় মশাবাহিত রোগ আগেই মানুষকে আক্রান্ত করছে বলে দাবি করেছেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন। মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, এবার মৌসুমের আগেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। ফলে দেখা যায়, মশার উপদ্রব আগে থেকেই বেড়ে যায় এবং বিভিন্ন স্থানে পানি জমতে থাকে। পানি পরিষ্কার করা হলেও বা ফেলে দিলেও পরের বৃষ্টিতে আবার পানি জমে যায়। তবে আমরা মার্চ থেকেই কাজ শুরু করি। ২৪ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত ক্রাশ প্রোগ্রাম করি। জনগণকে সচেতন করতে এপ্রিলে অবহিতকরণ কার্যক্রমও পরিচালনা করা হয়। আর ৬ জুলাই (শনিবার) থেকে শুরু হয় দুই সপ্তাহের ক্রাশ প্রোগ্রাম। অন্যদিকে নিজেদের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ বলেন, আমাদের আওতাধীন অংশে এখন ক্রাশ প্রোগ্রাম চলছে। এর আওতায় প্রতিটি জোনে আমরা আমাদের সব লজিস্টিক নিয়োজিত রেখেছি। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট জোনে একদিন আমাদের সব কর্মী মশার ওষুধ এবং মেশিন নিয়ে কাজ করছেন। পুরো প্রক্রিয়াটি দুইবার পরিচালিত হবে ক্রাশ প্রোগ্রামজুড়ে। মশা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে সেই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়েও সংশয় আছে নগরবাসীর। ওষুধ শুধু ভিআইপিদের বাসার আশপাশে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে এমন অভিযোগ নাকচ করেন সিটি করপোরেশনের এই দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ বলেন, ওষুধ দেয়ার সময় মশক কর্মীদের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলোতেই ওষুধ দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া থাকে। ওষুধ বিতরণের কাজ পুরোটাই ওয়ার্ড পর্যায় থেকে হয়। তাই শুধু ভিআইপিদের বাড়ির আশপাশে দেয়া হয় এমন অভিযোগ সত্য নয়। আর ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই মশার ওষুধ ব্যবহারের 'অ্যাপ্রুভাল' দেন তারা। এরপরও মাঠপর্যায় থেকেও ওষুধের নমুনা নিয়ে তারা পরীক্ষা করেন। কোথাও ওষুধের মান কম মনে হলে তারা সেগুলো ব্যবহার করেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে