বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ হয়েছে কাজের মেয়াদ সংস্কার হয়নি সড়ক

নতুনধারা
  ০৮ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ০৮ জুলাই ২০১৯, ০০:১২
রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর বাজারসংলগ্ন ভাসানী মোড় থেকে লালমাইটা টেম্পো স্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থা -যাযাদি

যাযাদি রিপোর্ট রাজধানীর মিরপুর-১১ নাম্বার বাজার সংলগ্ন ভাসানী মোড় থেকে লালমাইটা টেম্পু স্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজ এক বছরেও শেষ হয়নি। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও, এখনও সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়া, ফেলে রাখা হয়েছে ইট-বালু। এতে, সড়কটির বেশ কিছু অংশে যানবাহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, মিরপুর-১১ নাম্বার বাজার (রাব্বানি হোটেল সংলগ্ন) ভাসানী মোড় থেকে পূর্ব দিকে সড়কে সংস্কারের জন্য মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এ সড়কে অবৈধ স্থাপনা থাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট, ক্যাম্প, মার্কেট, স্কুলসহ অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। সড়কের কিছু অংশে নিউ সোসাইটি মার্কেটের দোকান রয়েছে। এছাড়া, সবুজ বাংলা আবাসিক এলাকার সামনে কাঁদাপানি জমে থাকতে দেখা যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা। প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান স্থানীয়রা। সড়কের তাল তলার মোড়ে সংস্কার কাজের সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। এতে, সিটি করপোরেশনের কাজ শুরু (৯ জুন, ২০১৮) ও শেষের (২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮) তারিখ উলেস্নখ করা থাকলেও, সে অনুযায়ী সংস্কার হয়নি। মিরপুর নিউ সুপার মার্কেট এলাকার বাসিন্দা মো. দুলাল বলেন, প্রায় এক বছর আগে সড়কের সংস্কার কাজ ধরা হয়েছিল। কিন্তু, এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। রাস্তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে আছে। ঠিকমতো যান চলাচল করতে পারে না। এমনকি হাঁটাচলা করাও অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই মার্কেটের কসমেটিক দোকানদার মো. মুঞ্জু বলেন, এক বছর ধরে ভালোভাবে দোকানদারি করতে পারছেন না। রাস্তার কাজ শেষ হয় না। রোজার ঈদের আগে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে, এখনো চলে। রাস্তায় গাড়ি আসতে পারে না, তাদের দোকানে কাস্টমারও আসে না। বেচাকেনাও তেমন একটা নেই। ব্যবসায় খুব ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তার জন্য অনেক সমস্যায় আছেন। সবুজ বাংলা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. ফজলুল হক বলেন, সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এখনও কাজ শেষ হচ্ছে না। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই মোড়ে হাঁটুপানি হয়ে যায়। কোনো কোনো জায়গায় তো বুকপানিও হয়ে যায়। এখান যে জলাবদ্ধতা হচ্ছে, পাঁচ-সাত বছর আগেও এমন হতো না। তখন বৃষ্টি হলেও পানি দ্রম্নত নেমে যেত। সড়কটির সংস্কারের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেভিসিএর প্রতিনিধি মো. পারভেজ বলেন, অবৈধ স্থাপনার কারণেই মূলত সংস্কার কাজ বন্ধ আছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান। উচ্ছেদ হলে তিন মাসের মধ্যেই সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভব। ডিএনসিসি ৫ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুর রউফ নান্নু বলেন, কাজ কখনও থেমে থাকে না। নন-বেঙ্গলিদের (বিহারি) সঙ্গে কাজ করা অনেক কষ্টকর। এ সড়কে এক সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয়া। মিরপুর-১১ নাম্বারের সব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। শুধু এ সড়কে উচ্ছেদ করা বাকি আছে। উচ্ছেদ কার্যক্রম হলেই খুব দ্রম্নত শেষ হবে এ সড়কের সংস্কার কাজ। ডিএনসিসির অঞ্চল-২'র নির্বাহী প্রকৌশলী ইনামুল কবির বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়াতে সড়ক সংস্কার কাজে বিলম্ব হয়েছে। নন-বেঙ্গলিদের (বিহারি) জন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে। যেসব এলাকায় বিহারি নেই, সেসব এলাকায় ঠিকই দ্রম্নত কাজ হয়ে গেছে। আশা করি, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরে দুই মাসের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে