বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বছরব্যাপী অভিযান চান নাসিম

নতুনধারা
  ১১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০২
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে শনিবার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম -ফোকাস বাংলা

যাযাদি রিপোর্ট আগামী বছর যাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা না দেয় সেজন্য এক বছর টার্গেট করে ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান চালানোর জন্য সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মোহাম্মদ নাসিম। শনিবার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের এ মুখপাত্র। ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এক বছর টার্গেট করে কাজ করুন। সময়ের কাজ সময়ে করুন। মানুষ ডেঙ্গু নিয়ে ভয়ে আছে, আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আমি সিটি করপোরেশনকে বলব, নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে। স্থানীয় সরকারকে বলব এখন থেকে সারা দেশের পৌরসভাকে কাজে লাগান। কলকাতা যদি ডেঙ্গুমুক্ত করতে পারে আমরা কেন পারব না। আজ থেকে মনে করুন আমরা ডেঙ্গুবিরোধী যুদ্ধে নেমেছি। আগামী বছর যাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা না দেয়। আমরা আপনাদের পাশে আছি। মানুষ কষ্টে আছে, নির্বাচনের সময় কিন্তু মানুষ এটা মনে রাখবে। শুধু কথা বলে কাজ হবে না, ডেঙ্গুমুক্ত করতে কাজ করতে হবে। নাসিম বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার স্মৃতিচারণ করে বলেন, সবচেয়ে কঠিন সময় যখন ছিল তখন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেছেন, তার পাশে থেকেছেন। তিনি যদি সাহস না যোগাতেন তাহলে স্বাধীনতা সংগ্রাম হতো না, শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু হতে পারতেন না, এই দেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এই জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার দল স্বাধীনতা বিরোধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে। খুনিদের, স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে জিয়া। আলোচনা সভায় জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গমাতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ বা কোনো সংগঠনের সদস্য ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু যখন ৬ দফা দিয়েছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুর পাশে বঙ্গমাতা রাজনৈতিকভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে শক্ত অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এখন আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছি তখন অনেক চ্যালেঞ্জ দেখছি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে বঙ্গমাতার মতো আত্মসংযমী হতে হবে। তাহলেই বঙ্গমাতার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা দেখানো হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আজ সবাই আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের, শেখ হাসিনার পক্ষের লোক ছাড়া কাউকে দেখি না। ৭৫'র সময়ও এরকম সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে যায়। এই লক্ষণটা কিন্তু ভালো না। আজ ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর হয়ে উঠেছে। সবাইকে অতন্দ্রপ্রহরীর মতো সজাগ থাকতে হবে। ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী বছর এই ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ হতে পারে। এখন থেকেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু একাডেমির সভাপতি নাজমুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, জাসদের নেতা মীর হুসাইন আক্তার প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে