শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যাপসা গরমেই বাজারে শীতের সবজি

নতুনধারা
  ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
রাজধানীর একটি সবজির দোকান -যাযাদি

যাযাদি রিপোর্ট

ভ্যাপসা গরমের মধ্যেই রাজধানীর বাজারে চলে এসেছে শীতকালীন সবজি শিম। মৌসুম শুরুর বেশ আগেভাগেই চলে আসা এ সবজি প্রায় সব বাজারে দেখা গেলেও দাম অনেকটা নাগালের বাইরে। বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

শিমের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। এর মধ্যে পাকা টমেটো ও গাজরের কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। এছাড়া উস্তে ও বরবটির কেজি একশ' টাকার কাছাকাছি। ৫০ টাকা কেজির নিচে মিলছে শুধু পেঁপে।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও এবং শান্তিনগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীত আসতে এখনো অনেক সময় বাকি। তবে শীতের আগাম সবজি হিসেবে শিম ইতোমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। আগাম বাজারে আসায় এ সবজিটির দাম একটু চড়া।

ব্যবসায়ীদের দাবি, যেকোনো সবজি বাজারে নতুন আসলে দিয়ে একটু বাড়তিই থাকে। তবে এবার শিমের দাম অন্যবারের তুলনায় বেশি।

মালিবাগ হাজিপাড়া বৌ-বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) শিম বিক্রি করছেন ৫০ টাকায়। আর এক কেজি নিলে দাম রাখা হচ্ছে ১৮০ টাকা। একই দামে শিম বিক্রি হতে দেখা গেছে খিলগাঁও ও রামপুরা বাজারে। আর শান্তিনগর বাজারে শিমের কেজি ২০০-২২০ টাকা চাওয়া হচ্ছে।

তবে খুচরা বাজারের তুলনায় কারওয়ান বাজারে তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে শিম। মানভেদে বাজারটিতে এক পালস্না (৫ কেজি) শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি শিমের দাম পড়ছে ১২০-১৪০ টাকা। কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, নতুন আসার কারণে এখন শিমের দাম একটু বেশি। ধীরে ধীরে শিমের সরবরাহ বাড়লে দামও কমে যাবে। তখন অন্যান্য সবজির দামও কমে যাবে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী বলেন, ঈদের পর থেকেই বাজারে শিম আসতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে এক কেজি শিম ১৪০ টাকা বিক্রি করেছিলাম। এখন তা ২০০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। আড়তে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, শুধু শিম না, এখন সব সবজির দাম চড়া। কয়েক মাস ধরেই টমেটো ১০০ টাকার ওপরে কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। বাজারে শীতকালীন সবজি ভরপুর না আসা পর্যন্ত এই দাম কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। এ সবজিগুলো কয়েক সপ্তাহ ধরেই এমন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। চড়া দামে বিক্রি হওয়া সবজির তালিকায় রয়েছে- পটল, ঝিঙে, ধুন্দল, চিচিংগা, বেগুন, কাকরল, ঢেঁড়স, লাউ। চিচিংগা, ঝিঙে, ধুনদলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। পটল, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা পিস।

চড়া দামের এই বাজারে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া। পেঁপের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। মিষ্টি কুমড়ার ফালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। এদিকে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজের বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকায়। আর সাদা বয়লার মুরগি ১৪০-১৫০ টাকা এবং লাল লেয়ার মুরগি ২০০-২১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

হাজিপাড়া বৌ-বাজার থেকে নিয়মিত বাজার করেন আলেয়া বেগম। তিনি বলেন, বাজারে সব সবজির দাম বেশি। এক সোয়া শিম চায় ৫০ টাকা। বলেন এটা কীভাবে সম্ভব! আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে এই দামে শিম কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। শুধু কি শিম? সব সবজির দাম বেশি। ৫০ টাকার নিচে কোনোটার দাম নেই। জিনিসের এমন দাম হলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। কিন্তু যাদের টাকা আছে তাদের কোনো সমস্যা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<63634 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1