শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
বাজার দর

কমেনি কোনো সবজির দাম বেড়েছে মুরগি-ডিমেরও

শাক বিক্রেতা রাজু জানান, কাঁচাবাজার সব সময় দাম ওঠা-নামা করে। বাজারে বেশি মাল এলে দাম কমে। কম থাকলে বাড়ে। পাইকারি বাজারে মালের সরবরাহ বেশি থাকায় শাকের দাম কমেছে।
যাযাদি রিপোর্ট
  ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০৮
রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজার থেকে সবজি কিনছেন এক নারী। ছবিটি শুক্রবার তোলা - ফোকাসবাংলা

আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা নিম্নমুখী রয়েছে শাকের বাজার। কিন্তু কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মুরগির দাম। ডজনে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে ডিমেও। বাজারে মাছের দাম কমলেও অপরিবর্তিত চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম। শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট, মালিবাগ কাঁচা বাজার, খিলগাঁও, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার ঘুরে বাংলানিউজের চোখে এ চিত্র উঠে এসেছে। এসব বাজারে খুচরা প্রতি কেজি টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, গাঁজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, উস্তা ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, দেশি (শসা) ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৮০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলা প্রতি হালি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। শরিফুল ইসলাম নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজারে আগের দামেই সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে। সে অনুপাতে খুচরা বাজারে বিক্রি চলছে। দাম বাড়েনি কোনো সবজির, আবার কমেওনি। রিফাত মন্ডল নামে এক ক্রেতা বলেন, শুধু আমাদের দেশে এক পণ্যের দাম বাড়লে আর কমে না। অন্য দেশে এমনটা হয় না। বাজারে কোনো সবজির ঘাটতি নেই, দাম না কমার কোনো কারণ দেখি না। এসব বাজারে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সব ধরনের শাকের দর। প্রতি আঁটি লালশাক ৭ থেকে ১০ টাকা, মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউশাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, কুমড়ার শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, পুঁইশাক ১৫ থেকে ২৫ টাকা, কলমিশাক ৭ থেকে ১০ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে। খিলগাঁও বাজারের খুচরা শাক বিক্রেতা রাজু বলেন, কাঁচাবাজার সব সময় ওঠা-নামা করে। বাজারে বেশি মাল এলে দাম কমে। কম থাকলে বাড়ে। পাইকারি বাজারে মালের সরবরাহ বেশি থাকায় শাকের দাম কমেছে। এসব বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম পস্নাস ওজনের ইলিশ ১০০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে, প্রতি কেজি বাইম (দেশি বড়) ১০০০ টাকা, বাইম (দেশি ছোট) ৫০০ টাকা, আকারভেদে প্রতি কেজি কাতল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, রুই ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, কাঁচকি ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি হরিনা ৪০০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা, গলদা ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, কই ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। বয়লার প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, লেয়ার সাদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, লেয়ার লাল ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এর আগের সপ্তাহে প্রতি কেজি বয়লার ১৩০ টাকা, লেয়ার সাদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, লেয়ার লাল ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়া আগের দরেই বিক্রি হতে দেখা গেছে গরুর মাংস। এসব বাজারে গরুর মাংস ৫৫০ টাকা ও খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম। বাড়তি রয়েছে ডিমের বাজার। এসব বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। যা এর আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। একইভাবে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে