শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বুয়েটের নতুন অধ্যাদেশের দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০৯
যাযাদি রিপোর্ট পাকিস্তান আমলের অধ্যাদেশ অনুযায়ী বুয়েট চলছে দাবি করে তা বাতিলে নতুন অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও সেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বুয়েটের যাত্রা শুরু। তৎকালীন সময়ে দেশ ছিল স্বাধিকারের দাবিতে উত্তাল। ফলে স্বৈরশাসক আইয়ুব সরকার তার নীলনকশার আলোকে বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তর করলেও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রাখে। এমনকি মিছিল-সমাবেশসহ অনেক ছোট ছোট বিষয়ও নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে দেওয়া হয় নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। 'এরপর দেশ স্বাধীন হলে সরকারি চারটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ১৯৭৩ সালে আলাদা আইন হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আইন করার কথা ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যেদিয়ে সে উদ্যোগ থমকে যায়।' তিনি বলেন, এরপর অনেক সরকার এলেও বুয়েটের সেই পাকিস্তানি অধ্যাদেশ সংশোধন আর করা হয়নি। আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের পর সম্প্রতি বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, '১৯৬২ সালের পাকিস্তানি ভাবধারার অধ্যাদেশ বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে সভা ও সমাবেশ করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে বুয়েট প্রশাসন পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত হতে চায়।' বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সমালোচনা করে মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, 'রাগ হলে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। পুরো অঙ্গ কেটে ফেলা অযৌক্তিক। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মনে করে এরকম সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রতিক্রিয়াশীল জামায়াত-শিবির-জঙ্গি গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।' সমাবেশ থেকে সরকারের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- ১৯৬২ সালের অধ্যাদেশ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বুয়েট পরিচালনা করার জন্য নতুন অধ্যাদেশ প্রণয়ন; আবরার হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত দায়িত্ব পালনে গাফিলতি এবং ব্যর্থ হলের প্রভোস্ট, হাউস টিউটরদের গ্রেপ্তার ও ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি; প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা, প্রতিক্রিয়াশীল জামায়াত-শিবির-জঙ্গিদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় বুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ; অবিলম্বে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার, ছাত্রশিবির-বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী এবং এদের লালন-পালনকারী জড়িত শিক্ষকদের চিহ্নিতের পর বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনা। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মিয়া প্রমুখ।

পাকিস্তান আমলের অধ্যাদেশ অনুযায়ী বুয়েট চলছে দাবি করে তা বাতিলে নতুন অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও সেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বুয়েটের যাত্রা শুরু। তৎকালীন সময়ে দেশ ছিল স্বাধিকারের দাবিতে উত্তাল। ফলে স্বৈরশাসক আইয়ুব সরকার তার নীলনকশার আলোকে বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তর করলেও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রাখে। এমনকি মিছিল-সমাবেশসহ অনেক ছোট ছোট বিষয়ও নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে দেওয়া হয় নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। 'এরপর দেশ স্বাধীন হলে সরকারি চারটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ১৯৭৩ সালে আলাদা আইন হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আইন করার কথা ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যেদিয়ে সে উদ্যোগ থমকে যায়।' তিনি বলেন, এরপর অনেক সরকার এলেও বুয়েটের সেই পাকিস্তানি অধ্যাদেশ সংশোধন আর করা হয়নি। আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের পর সম্প্রতি বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, '১৯৬২ সালের পাকিস্তানি ভাবধারার অধ্যাদেশ বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে সভা ও সমাবেশ করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে বুয়েট প্রশাসন পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত হতে চায়।' বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সমালোচনা করে মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, 'রাগ হলে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। পুরো অঙ্গ কেটে ফেলা অযৌক্তিক। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মনে করে এরকম সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রতিক্রিয়াশীল জামায়াত-শিবির-জঙ্গি গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।' সমাবেশ থেকে সরকারের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- ১৯৬২ সালের অধ্যাদেশ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বুয়েট পরিচালনা করার জন্য নতুন অধ্যাদেশ প্রণয়ন; আবরার হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত দায়িত্ব পালনে গাফিলতি এবং ব্যর্থ হলের প্রভোস্ট, হাউস টিউটরদের গ্রেপ্তার ও ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি; প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা, প্রতিক্রিয়াশীল জামায়াত-শিবির-জঙ্গিদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় বুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ; অবিলম্বে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার, ছাত্রশিবির-বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী এবং এদের লালন-পালনকারী জড়িত শিক্ষকদের চিহ্নিতের পর বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনা। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মিয়া প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে