শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে সম্পদ, পুঁজি আর সঞ্চয়

যাযাদি ডেস্ক
  ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৩৪
চট্টগ্রাম নগরে জহুর হকার্সের পাশে জালালাবাদ মার্কেটে আগুনে পুড়ে যাওয়া টি-শার্ট হাতে এক ব্যবসায়ী -যাযাদি

পোড়া কাপড়ের স্তূপে বসে নীরবে কাঁদছিলেন মো. আজিম। জহুর হকার্স মার্কেটের ৪৫৫ নম্বর দোকানটির মালিক তিনি। বললেন, ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দোকানে পণ্য তুলেছি। আগুনে সব শেষ। শনিবার ভোররাতে চট্টগ্রাম নগরের জহুর হকার্সের পাশের জালালাবাদ মার্কেটের আগুন আজিমের মতো সর্বনাশ করেছে শতাধিক দোকানিকে। শেখ কামাল ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য আড়াই হাজার গেঞ্জি স্ক্রিন প্রিন্ট করেছেন মো. ইয়াসিন। আগুনে সব পুড়ে ছাই। ইয়াসিন বলেন, ভোর চারটায় এসে দেখি সব শেষ। শনিবার গেঞ্জিগুলো ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। দোকানের ক্যাশে ছিল আড়াই লাখ টাকা। তাও পুড়ে ছাই। জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল আমিন জানান, জালালাবাদ ও শাহজালাল মার্কেটের দোতলার ৭০টি দোকানের পণ্যসামগ্রী পুড়ে গেছে। এছাড়া জহুর মার্কেটের অন্তত ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। এসব দোকানে কম্বল, বেডশিট, আয়রন, অ্যামব্রয়ডারি, রেডিমেড গার্মেন্ট, শার্ট ছিল। সকাল ৭টায়ও পুড়ছিল জালালাবাদ মার্কেটের হাজী এম হোসেন নামের দোকানটির দোতলা। দোকান মালিক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আমার ৩০ লাখ টাকার বেডশিট, দরজার পর্দা, লেপ তোশকের কাপড় পুড়ে গেছে। আগুন আমার সর্বনাশ করেছে। বস্নু বার্ডের মালিক আইয়ুব উজ জামান বলেন, দোকানের জমিদার ফোন করায় পৌনে পাঁচটায় ছুটে আসি। দোতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিচতলার শোরুমের রেডিমেড শার্ট দ্রম্নত বের করে আনি। আমার মতো জহুর হকার্সের ১ হাজারের বেশি দোকানের মালিক, কর্মচারী ছুটে এসেছেন। জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন বাবুল জানান, অগ্নিকান্ডের কারণে শনিবার মার্কেট বন্ধ। কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, চুরি ও কৌতূহলী মানুষের ভিড় ঠেকাতে কাজ করেছে পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে