শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সচেতনতাই কমাতে পারে স্তন ক্যান্সার

নতুনধারা
  ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:১২
মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আয়োজিত সেমিনারে অতিথিরা -যাযাদি

যাযাদি রিপোর্ট 'স্তন ক্যান্সার কমিয়ে আনতে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এই ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। সচেতনতার মাধ্যমেই স্তন ক্যান্সারে মৃতু্যহার কমিয়ে আনা সম্ভব'। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যালস সায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত 'স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ও সচেতনতা' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। তারা বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ, স্থূলতা, মদ্যপান, ঋতুস্রাব, হরমোন রিপেস্নসমেন্ট থেরাপি ও পারিবারিক কারণেও স্তন ক্যান্সার হয়। এটাকে কমিয়ে আনতে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ, ৩০ বছর বয়সের আগে দুটি সন্তান গ্রহণ ও নিয়মিত স্তন স্ক্রিনিং অনেকাংশে ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাফর মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, সারা বিশ্বেই স্তন ক্যান্সারের হার বাড়ছে। অস্বাভাবিক কোষ বাড়লে ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়। শুধু নারীরাই নয়, এখন পুরুষরাও আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, আক্রান্তের দিক দিয়ে ব্রেস্ট ক্যান্সারের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় দুই লাখ মানুষ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রায় দেড় লাখ মানুষ মারা যায়। যদিও ক্যান্সার নিয়ে বাংলাদেশে গবেষণা পর্যাপ্ত নয়। অধ্যাপক ডা. জাফর মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করা গেলে শতভাগ নিরাময় সম্ভব। সচেতনতার মাধ্যমে মৃতু্যহার কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, একমাত্র সচেতনতাই ক্যান্সার প্রতিরোধের বড় হাতিয়ার। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন বলেন, একসময় স্তন ক্যান্সারে নারী আক্রান্ত হতো, এখন পুরুষরাও হচ্ছে। এই ক্যান্সার থেকে বাঁচতে সচেতনা বাড়ানো প্রয়োজন। ফার্মাসিউটিক্যালস বিভাগের শিক্ষক সাদিয়া শবনামের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিএম সায়েদুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ ও এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তা ড. শাহরিয়ার হোসেন প্রমুখ। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে