শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে দুই পা হারানো রবিউল আলমের চিকিৎসার ব্যয় বহন ও শিক্ষাথীের্দর পরিবহন সংকট নিরসনের বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীর্রা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীর্রা শহীদ মিনারে মানববন্ধন, উপাচাযের্র কাযার্লয়ের সামনে অবস্থান ও স্মারকলিপি প্রদানের মতো কমর্সূচি পালন করেছে।
বুধবার সকালে নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে ট্রেনে ওঠার সময় হাত ফসকে নিচে পড়ে যান চবির সমাজতত্ত¡ বিভাগের মাস্টাসের্র ছাত্র রবিউল আলম। এতে তার দুই পাই কাটা পড়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করে একদল সাধারণ শিক্ষাথীর্, যেখানে সব বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকমীর্রাও অংশ নেন।
এরপর সেখানে সমবেত শিক্ষাথীর্রা বেলা সাড়ে ১১টায় উপাচাযের্র কাযার্লয়ের সামনে অবস্থান নেন। ‘সাধারণ শিক্ষাথীর্বৃন্দ’র ব্যানারে উপাচাযের্ক স্মারকলিপি দিয়ে তারা কমর্সূচি শেষ করেন।
এরপর একই দাবিতে শহীদ মিনারে আরেক মানববন্ধনের আয়োজন করেন চবি ছাত্রলীগের নেতাকমীর্রা। এতে কয়েক হাজার সাধারণ ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।
তারা রবিউল আলমের চিকিৎসার ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বহন করাসহ তার চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান, শাটল ট্রেন ও বগির সংখ্যা বৃদ্ধি করা, শিক্ষাথীর্ বাস সাভির্স চালু করা এবং শাটল ট্রেনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্তি কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘রবিউল আলমের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করে তার চাকরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি।
‘ভবিষ্যৎতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সে জন্য প্রশাসনকে পযার্প্ত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাই।’
ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, যখন ছাত্রসংখ্যা ১০ হাজার ছিল তখন বগির সংখ্যা ছিল পঁাচটি আজ ২৪ হাজার শিক্ষাথীর্র জন্য পঁাচটি বগি কেন?
এ সময় শিক্ষাথীর্রা ‘একদফা একদাবি, শাটলের ১২ বগি’, আমার ভাইয়ের পা গেল, প্রশাসন চুপ কেন?’, ‘না ঝরলে রক্ত, কেন হয় না বিবেক জাগ্রত? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বহিরাগত মুক্ত শাটল ট্রেন চাই’, ‘শাটল ট্রেনে মালবাহী বগি, ছাত্রছাত্রী ভুক্তভোগী’, ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসেন।
বেলা দেড়টার দিকে ছাত্রলীগ আয়োজিত কমর্সূচিও শেষ হয়।
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষাথীর্ নাহিদা ইসলাম বলেন, পযার্প্ত বগি না থাকায় এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষাথীর্ তন্বী পাল বলেন, শাটল ট্রেনে বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে এবং বগি বৃদ্ধি না হলে এ রকম ঘটনা আরও ঘটবে।
চট্টগ্রাম নগরী থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের চবি ক্যাম্পাসে নিয়মিত এক জোড়া শাটল ট্রেন এবং একটি ডেমু ট্রেন চলাচল করে।
নগরী থেকে ক্যাম্পাসে যেতে এটিই শিক্ষাথীের্দর মূল বাহন। এর মধ্যে শাটল ট্রেন দিনভেদে পঁাচ থেকে সবোর্চ্চ আটটি বগি থাকে।