আজকের যায়যায়দিন

চট্টগ্রামে স্ক্রু ড্রাইভারের আঘাতে যুবক খুনের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে ঢাকার মালিবাগ থেকে মো. সোহেল (২২) নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে চট্টগ্রামের খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানিয়েছেন।

কুমিলস্নার চান্দিনার ছেলে সোহেল পেশায় অটো রিকশার মিস্ত্রি। চট্টগ্রামে তিনি থাকেন আমবাগান এলাকায়। রোববার রাতে নিহত মো. নাহিদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল।

ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, 'হত্যাকান্ডের রাতেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পালিয়েছিল সোহেল। চট্টগ্রামে তাকে না পেয়ে খুলশী থানা পুলিশের একটি দল ঢাকায় যায়। সোমবার সকালে মালিবাগে রাস্তা থেকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।'

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

নগরীর আমবাগান এলাকায় ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে রোববার রাতে খুন হন ১৯ বছর বয়সি নাহিদ।

পুলিশ সে সময় জানিয়েছিল, নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার জেরে নাহিদসহ তিনজন সোহেলকে 'মারতে গিয়েছিল' ওই এলাকায়। এ সময় সোহেল তার হাতে থাকা স্ক্রু ড্রাইভার নাহিদের বুকে ঢুকিয়ে দেন।

গুরুতর অবস্থায় নাহিদকে স্থানীয় মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি প্রণব বলেন, 'গ্রেপ্তার হওয়ার পর সোহেল পুলিশকে বলেন, নাহিদ ও সে বন্ধু ছিল। শনিবার ঝাউতলা এলাকায় নাহিদরা মারামারি করতে গিয়েছিল। সে না যাওয়ায় রোববার রাতে নাহিদ কারণ জানতে চায়।'

'এ নিয়ে কথা কাটাকাটির পর সোহেলকে মারধর করে নাহিদ। তখন সোহেল হাতে থাকা স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে নাহিদের বুকে আঘাত করে।'

ওসি বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সিসি ক্যামেরা থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজেও সোহেলকে মারধর করতে দেখা গেছে। তাকে চট্টগ্রামে নেওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।

এদিকে নাহিদ খুন হওয়ার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। দাফনের কাজ শেষ করে স্বজনরা মামলা করবে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।