শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজয় দিবসে ছেঁড়া পতাকা নয় বুদ্ধিজীবী দিবসে নয় আলোকসজ্জা

নতুনধারা
  ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
বুধবার সচিবালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভা শেষে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল -যাযাদি

যাযাদি রিপোর্ট

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ছেঁড়া ও মলিন পতাকা উড়ানো যাবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, '১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা কেউ করতে পারবে না।'

বুধবার সচিবালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'সবাই যাতে মনের মাধুরী দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর পালন করতে পারে, সেই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নেব। বিজয় দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ ও রঙ সমন্বয় করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। আমরা লক্ষ্য করেছি, বিভিন্ন জায়গায় পতাকাগুলো যথেষ্ট মলিন হয়ে গিয়েছে। সেগুলো তারা ব্যবহার করেন ও তোলেন।'

মন্ত্রী বলেন, 'আমরা পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১৬ ডিসেম্বর যে পতাকাটি তুলবেন, আমাদের পতাকা বিধি অনুযায়ী, পতাকা মাপ অনুযায়ী পতাকা তুলতে হবে। রঙ বর্ণ এবং সবকিছু যাতে ফ্রেশ থাকে; কোনো বিবর্ণ, পুরনো, ছিঁড়ে যাওয়া পাতাকা কেউ উড়াতে পারবেন না।'

তিনি আরও বলেন, '১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, আমরা অনেকদিন ধরে লক্ষ্য করছি ডিসেম্বর এলেই সবাই ১৬ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আলোকসজ্জা করে থাকেন। আজকে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে কেউ কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করতে পারবেন না। ১৬ ডিসেম্বর পালনের জন্য আলোকসজ্জা করতে পারবেন। ১৪ ডিসেম্বরকে মর্যাদা সহকারে স্মরণ করব, সেজন্য সেদিন যাতে কোনো আলোকসজ্জা না হয় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখব।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেকেই পতাকা তোলেন, সেখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, সেদিন তারা বাসায় বা যেখানে প্রয়োজন পতাকা তুলবেন। কিন্তু পরের দিন পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী পতাকাটাকে যথাযোগ্য সম্মানের সঙ্গে তারা আবার নামিয়ে রাখবেন।'

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য গমনাগমনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'বিদেশি কূটনৈতিকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। ঢাকা থেকে সাভার রুটের সড়ক সিটি ক্যামেরার আওতায় থাকবে যাতে করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা নাশকতা ঘটাতে না পারে। পুরো স্মৃতিসৌধ সিটি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।'

'প্রতিবারের মতো এবারও যেখান দিয়ে ভিআইপিরা গমনাগমন করবেন সেই সড়কে কোনো ওভারহেড তোরণ করতে দেব না। বিশেষ করে ঢাকা থেকে সাভার পর্যন্ত সড়কে।' -বলেন মন্ত্রী।

বিজয় দিবসে মেট্রোপলিটন এলাকা, জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রয়োজন অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'বিজয় দিবসে যেসব সংস্থা সংস্কৃতি অনুষ্ঠান, আনন্দর্ যালি করবেন তারা সাতদিন আগে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন।

আমরা সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে কুচকাওয়াজ এবং ঢাকা মহানগরীর ১১টি স্থানে এবং সারা দেশব্যাপী ৪১১টি স্থানে ফায়ার সার্ভিস অ্যালার্ট থাকবে। বিভিন্ন স্থানে অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান।

মন্ত্রী বলেন, 'মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোনো যুদ্ধাপরাধী, যুদ্ধের সময় বিতর্কিত ব্যক্তিকে যাতে আমন্ত্রণ জানানো না হয় সে জন্য আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে দিচ্ছি। তারা যাতে এ সমস্ত অনুষ্ঠানে এসে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি এবং কোনো ধরনের অবস্থান না নিতে পারে সেই বিষয়ে সভায় আমরা একমত হয়েছি।'

প্যারেড স্কয়ারের বাইরে কিছু এলইডি স্ক্রিন দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'যাতে প্যারেডের পুরো দৃশ্য মানুষ দেখতে পারে। শহরের বিভিন্ন স্থানে তা স্থাপন করা হবে।'

সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী,র্ যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<75376 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1