বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অধিকাংশ সবজির দাম নাগালের বাইরে

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ১১:২৫
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের একটি সবজি দোকান -যাযাদি

রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। তবে সে তুলনায় কমেনি দাম। পেঁপে ছাড়া এখনও অধিকাংশ সবজির দাম ৪০ টাকার ওপরে। টাটকা সবজির দাম বিক্রেতারা হাঁকাচ্ছেন আরও বেশি। শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর ও দক্ষিণ পাইকপাড়া এলাকার বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। বাজারে ধনেপাতার কেজি ১৫০-২০০ টাকা হলেও কমেছে মরিচ ও শিমের দাম। দুটোই ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও ছিল ৮০-১২০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ সবজির দাম নাগালের বাইরে। গত দেড় মাস ধরে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলাসহ শীতের আগাম সবজি বাজারে বিক্রি হলেও দাম কমছে না। এর মধ্যে শুধু শিমের দাম কিছুটা কমেছে। তবে এখনও এ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও পাইকারিতে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে কম দামে বিক্রি করতে পারছেন না তারা। তবে আগামী সপ্তাহে সব সবজির দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। মিরপুর পাইকপাড়ার জনকল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন ৬০, করলা ১২০, আধাপাকা টমেটো ১২০, কাঁচা টেমেটো ৮০, শিম ৬০-১০০, ফুলকপি ৪০-৬০ টাকা, নতুন আলু ১০০, শসা ১২০, ধনেপাতা ১৮০-২০০, মুলার কেজি ৫০, গাজর ১২০ ও শালগম ৮০, পেঁপে ৩০, লেবুর হালি ২০, সবুজ বরবটি ৬০, লাল বরবটি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫০, জালি কুমড়া ৫০, বাঁধাকপি ৫০, চিচিঙ্গা ৮০, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০, ধুন্দল ৬০ ও কচুরমুখি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ শাক আঁটিতে ৩০, ডাঁটা শাক ১৫, লাল শাক ১৫, মুলা শাক, সরিষা ও পালং শাক ১৫, পুঁইশাক ৩০, কচু শাক ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে বিদেশি পেঁয়াজ ১৩০, দেশি ২২০, ক্রস ১৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া আদা ১৬০-১৮০, রসুন ১৬০-১৮০ এবং আলু কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ টাকায়। মাংসের বাজারে গরু সাড়ে ৫০০ টাকা, খাসি সাড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি ককের দাম। ১১৫-১২৫ টাকায় মিলছে। পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা কেজি দরে। আর লাল লেয়ার মুরগি আগের মতো ২০০-২১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সবজি ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, তুলনা করলে কমেছে। তবে গত বছরের এ সময় সবজির দাম আরও কম ছিল। বৃষ্টি নেই, শীত পড়তে শুরু করেছে আশা করা হচ্ছে সপ্তাহের ব্যবধানে সব সবজির দাম কমবে। টোলারবাগ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, সবজির দাম বেশ কমেছে। তবে নতুন ও টাটকা সবজিতে দাম তো একটু বেশিই পড়ে। সবজির দাম আর বাড়বে না বরং কমবে। একই বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী লিটন মিয়া জানান, কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে মুরগির দাম। বিক্রিও বেড়েছে। আব্দুল খালেক নামে এক ক্রেতা বলেন, 'এ দোকান ও দোকান ঘুরছি। কিন্তু সব বিক্রেতা যেন একই সুরে কথা বলছে। দামে হেরফের কম। বেশি সবজি কিনলে হয়তো ২-৪ টাকা কম নিচ্ছেন। তবে মরিচ, মুরগির দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করলেও পেঁয়াজ এখনো ২০০ টাকার নিচে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধিকাংশ ক্রেতা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে