বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না: রিজভী

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী -যাযাদি

গত ২৫ দিন ধরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, এটা জেলকোডের চরম লঙ্ঘন। এর মাধ্যমে বিধি-বিধানকে উপেক্ষা করে প্রতিহিংসার বিধানকেই চরিতার্থ করা হচ্ছে। গত ১৩ নভেম্বরের পর থেকে আর সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আমরা বর্তমানে তার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম আশঙ্কায় দিনাতিপাত করছি। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে ৬৬৫ দিন হলো অবৈধ ক্ষমতার জোরে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আইন-আদালত, ন্যায় বিচার, সংবিধান, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, বয়স, অসুস্থতাসহ সব বিবেচনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া আইনগত অধিকার। দেশ-বিদেশের আইনজ্ঞরা বলছেন, এ মামলায় জামিন না পাওয়া বিস্ময়কর। তিনি নিশ্চিতভাবেই জামিনের হকদার। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি করবেন। ৫ ডিসেম্বররের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার সবশেষ অবস্থার প্রতিবেদন দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা এত খাপার যে, এ মুহূর্তে তাকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে জীবনহানির চরম ঝুঁকি রয়েছে। সুচিকিৎসার অভাবে তার যে ড্যামেজ হচ্ছে, সেটা আর ফিরে আসবে না। তার বাম হাত ও শরীরের বাম দিক প্রায় প্যারালাইজড হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারও সাহায্য ছাড়া তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। রিজভী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন। তিনি দেশের সিনিয়র সিটিজেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধীদলীয় নেতা, তিনি গুরুতর অসুস্থ। তাই তার জামিন পাওয়া ন্যায়সঙ্গত অধিকার। এর আগে এ ধরনের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অনেকেই জামিন পেয়েছেন, সেটির অসংখ্য নজিরও রয়েছে। জাতি তার জামিনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছে। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন না হলে কি ধরনের কর্মসূচি আসবে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, আমরা আর কতদিন অপেক্ষা করব। আইনি প্রক্রিয়া দেখে তারপর সিদ্ধান্ত হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দুটি জায়গা আছে। একটা সংসদ আর একটা রাজপথ। যখন দেখব গণতন্ত্রের স্পেস সংকুচিত তখন রাজপথে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য কাজ করতে হবে। আর গণতন্ত্রের মুক্তির একটি অন্যতম শর্ত হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে