আজকের যায়যায়দিন

হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে আবারও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চার জায়ামাত নেতাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ-উর রহমানের আদালতে মামলাটি করেছেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে দারুস সালাম থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অপর আসামিরা হলেন, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল সোহেল, জামায়াতের রোকন (সাময়িক বহিষ্কৃত) আফজাল হোসেন, জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমান, জামায়াত নেতা আব্দুল করিম, জামায়াত নেতা হাফেজ দিদারুল ইসলাম, জনৈক আমিনুল হক বাবু ও ফারুক আহমেদসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৫ জন।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, 'গত ৬ ডিসেম্বর আমি আমার পত্রিকার অফিস থেকে শাহ আলী মাজারের দিকে রওয়ানা হই। শাহ আলী মার্কেটের পূর্বকোণে পৌঁছলে বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল সোহেলের হুকুমে চারজন হুজুর ও বিএনপির ৪-৫ জন গুন্ডা বাহিনীর সদস্য আমাকে থামতে বলেন। তখন তারা বলেন, আপনার সঙ্গে কথা আছে। একটু চলেন আমাদের সঙ্গে। তখন আমি বলি, মাজার হতে আসার পথে আপনাদের অফিসে ঢুকব। তখন তারা বলে, বিএনপির নেতা সোহেল আপনাকে ধরে নিয়ে যেতে বলেছে। আপনি যেতে যখন রাজি হচ্ছেন না, তাহলে চুপচাপ থাকুন, আমরা আপনাকে শর্ত দিচ্ছি যে, বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সব নেতার মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন এবং তাদের মুক্তির ব্যবস্থা নেবেন। তা না হলে ২১ আগস্টের মতো শেখ হাসিনাসহ আইএস দিয়ে গ্রেনেড মেরে তোদের সবাইকে মেরে ফেলব। কথাগুলো মনে রাখিস, এটা আমাদের নেতাদের নির্দেশ। তারা এ কথাগুলো বলে ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়। ওরা চলে গেলে আমি ফলো করি যে, ওরা কোনদিকে যায়। ৪-৫ জন রবিউল টাওয়ারের দিকে চলে যায় আর হুজুররা শাহ আলী মাদরাসায় চলে যায়।'

উলেস্নখ্য, এর আগে হত্যার হুমকি ও মানহানির অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী।