মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর সড়কে ফের মিনি ডাস্টবিন

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৫৪
রাজধানীর একটি সড়কে বসানো মিনি ডাস্টবিন -যাযাদি

জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণ। শহরে উৎপাদিত বর্জ্যের বেশির ভাগই দৈনন্দিন সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত ল্যান্ডফিলে ফেলা হলেও সারাদিন সড়কের যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে অনেক বর্জ্য। এগুলো থেকে শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ফের মিনি ডাস্টবিন বসানোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এর আগেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি) এলাকায় রাস্তার দুই পাশে প্রায় ১১ হাজার মিনি ডাস্টবিন বসানো হয়েছিল। কিন্তু এসব ডাস্টবিনের প্রায় সিংহভাগই উধাও, চুরি বা নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি যেগুলো এখনো টিকে আছে সেগুলো যথাযথ তদারকির অভাবে সেগুলোও অনেকটাই ব্যবহার অনুপযোগী। কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে ও জনসাধারণের অসচেতনতার কারণে এ প্রকল্প থেকে তেমন সাফল্য পায়নি সিটি করপোরেশন। তবে এবার কিছুটা ভিন্নভাবে এ মিনি ডাস্টবিনগুলো স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে ডিএনসিসি। এ লক্ষ্যে বেশ কিছু মডেলের ডাস্টবিনের স্যাম্পল তৈরি করা হয়েছে। এগুলো তৈরিতে মাথায় রাখা হচ্ছে- কীভাবে এর সঠিক ব্যবহার করতে পারে পথচারীরা। চুরি এড়াতে কোনো ধরনের ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করা যায় কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এগুলোতে পলিথিনের ব্যবহার রাখতে চাচ্ছে ডিএনসিসি। মিনি ডাস্টবিনে রাখা থাকবে বড় ধরনের পলিথিন ব্যাগ। যেন ডাস্টবিন ভরে যাওয়ার পর শুধু ওই ব্যাগটি সরিয়ে নিলেই পরবর্তীতে আবার ব্যবহার শুরু করা যায়। এসব কিছু মাথায় রেখে কিছু মডেলের বিন তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা এসবের গুণগত মান, ব্যবহার বিধি, বিচার বিশ্লেষণ করে যেকোনো একটি মডেল নির্বাচন করবেন এবং পরবর্তীতে ওটাই ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন সড়কে স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি চুরি রোধে সিমেন্টের তৈরি মিনি ডাস্টবিন নির্মাণের পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে। এছাড়া মিনি ডাস্টবিনের চুরি রোধে বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অন্য কোনো কোম্পানিকে দেওয়ার কথা ভাবছে ডিএনসিসি। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবুল হাসানাত মো. আশরাফুল বলেন, 'মিনি ডাস্টবিন বিভিন্ন এলাকায় বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন ধরনের ডাস্টবিন বসানো হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। এবার কিছুটা ভিন্নভাবে আমরা স্থাপন করব। এছাড়া আগে এ বিনগুলোতে আমরা পলিব্যাগ ব্যবহার করতাম না, এবার করব। যেন দ্রম্নত ময়লাগুলো পরিষ্কার করা যায়। এছাড়া এসব মিনি ডাস্টবিনের চুরি রোধে এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কোনো কোম্পানিকে দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনের বিনিময়ে কোনো কোম্পানিকে এ দায়িত্ব দেওয়া হবে।' অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার ৭০০ মিনি ডাস্টবিন বসানো হয়েছিল। এসব মিনি ডাস্টবিনের বিষয়ে ডিএসসিসি পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের গত বছরের এক হিসেবে থেকে জানা গেছে, সংস্থার পাঁচ হাজার ৭০০টি বিনের মধ্যে ৫১ শতাংশ এখন টিকে আছে। বাকি ২৭ শতাংশ বিন মেরামতযোগ্য, আর ২২ শতাংশ বিনের কোনো হদিস নেই। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য মিনি ডাস্টবিনগুলো নষ্ট হয়েছে। এছাড়া মিনি ডাস্টবিনগুলো বিক্রয়যোগ্য হওয়ায় অনেকগুলো চুরি হয়ে গেছে। এ জন্য নতুন কোনো পন্থায় ডাস্টবিন বসানোর বিষয় ভাবছে তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে