শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে প্রতি ৫ জনে দরিদ্র একজন: পরিকল্পনামন্ত্রী

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
এমএ মান্নান

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, দেশের প্রায় ২০ দশমিক পাঁচ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে। অর্থাৎ প্রতি পাঁচজনে একজন মানুষ দরিদ্র। আর দারিদ্র্যের এমন প্রেক্ষাপটে বাড়ছে অবৈধভাবে বিদেশ পাড়ি দেয়ার ঘটনা। বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর বাংলাদেশ। সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এ সময় প্রথম পর্বে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে আইনের প্রয়োগ এবং সচেতনতার গুরুত্ব নিয়ে বিতর্কে অংশ নেন প্রতিযোগীরা। এমএ মান্নান বলেন, দেশে এখন প্রায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। যার অর্থ, প্রতি পাঁচজনে প্রায় একজন দরিদ্র। এ তথ্য বিশ্বব্যাংক তাদের স্ট্যান্ডার্ডে দিয়েছে। এই দারিদ্র্যের সুযোগে দেশ থেকে অবৈধপথে বিদেশে পাড়ি দেয়ার ঘটনা বাড়ছে। তবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিগত ১০ বছর যাবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, '২০০৯ সালে তিনি যখন সরকার গঠন করেন, তখন প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। অর্থাৎ প্রতি দুইজনে একজন দরিদ্র ছিল। আর এই অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম কৃতিত্বের দাবিদার এ দেশের শ্রমজীবী মানুষ। যারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অমানবিক পরিবেশে কাজ করে যাচ্ছেন।' তবে অভিবাসন ইসু্যতে আইনের কিছু ব্যত্যয় হচ্ছে মেনে নিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'আমরা শক্ত হাতে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে কাজ করছি। তবে স্বীকার করছি, আমাদের তরফেও কিছু ত্রম্নটি হচ্ছে। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে কিছু অনিয়ম হচ্ছে। তবে তা খুবই সামান্য।' সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, অভিবাসন ব্যয়, বেতন, কর্মপরিবেশ, কাজের ধরন প্রভৃতি সম্পর্কে জেনে-শুনে-বুঝে বিদেশ গেলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। আইনপ্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা যত বেশি বাড়বে, নিরাপদ অভিবাসন ততো বেশি নিশ্চিত হবে। ২০২০ সালে পুনরায় মালয়েশিয়া, দুবাইয়ের শ্রমবাজারসহ নতুন বাজার খোলা সম্ভব হলে আশা করা যাচ্ছে, প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ২২ বা ২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রতিযোগিতায় লালমাটিয়া মহিলা কলেজ দল সংসদে সরকারি দলের ভূমিকায় এবং সরকারি বাংলা কলেজ বিরোধী দলের ভূমিকায় অংশ নেয়। 'শুধু আইনের প্রয়োগ নয়, সামাজিক সচেতনতাই পারে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে' শীর্ষক এই প্রতিযোগিতায় লালমাটিয়া মহিলা কলেজ সচেতনতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তাদের বিতর্ক উপস্থাপন করে বিজয়ী দল হিসেবে নির্বাচিত হয়। অন্যদিকে সরকারি বাংলা কলেজ দল আইনপ্রয়োগের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তাদের বিতর্ক উপস্থাপন করে রানার্স আপ নির্বাচিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ দলের সদস্যদের মাঝে ট্রাফিক ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে