আজকের যায়যায়দিন

ধান্ধাবাজ ও দালাল লোকদের নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছেন পলস্নীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, দালালদের যদি নির্মূল করতে না পারি, তাহলে অভিবাসী শ্রমিকের সমস্যার সমাধান হবে না। তারা বিদেশে গিয়ে বিপদেই পড়বে। অনেক শিক্ষিত লোকও দালালদের খপ্পরে পড়ে। তাই চিহ্নিত দালালদের আইনের আওতায় আনা গেলে বাকিরা হুশিয়ার হবে। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে 'বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিক : আইন ও বাস্তবায়ন' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, উন্নত দেশে গিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়। মানুষ মনে করে, বিদেশ গেলে টাকা ঝরে। এটা মোটেও ঠিক নয়। তবে রেমিট্যান্সের দরকার আছে। ১৫-১৬ বিলিয়ন রেমিট্যান্স আসে। এখন দক্ষ জনশক্তি ছাড়া বিদেশ যাওয়ার দিন শেষ। নারীরা বিদেশ যাবে, তবে গৃহকর্মী হিসেবে কোনো নারী যাবে না, এতে সবাইকে একমত হতে হবে। দক্ষ লোক পাঠাতে হবে। অদক্ষ লোক পাঠানো যাবে না। মানুষকে সচেতন করতে হবে- এটা সবার দায়িত্ব। তিনি বলেন, এই খাতে দালালদের দৌরাত্ম খুব বেশি। নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিদেশ পাঠানো হয়। আমরা পলস্নীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন জনশক্তি রপ্তানি বু্যরোর সঙ্গে একবার কাজ করেছি, ২৭ জনকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু পরে আর পারিনি, দালালরা এত শক্তিশালী। আমাদের এত শক্তি থাকার পরও সম্ভব হয়নি। খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, আইনে যাই থাকুক না কেন, সংবিধান অনুযায়ী মানুষকে সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। সব মানুষ সমান, সবাই মর্যাদার সহিত বাস করব। কারও ক্ষতি করার অধিকার আমার নেই। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নত মডেল, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব দৃঢ়। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, এই জাতিকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না। এটা ঠিকই বলেছেন, বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়া রাখতে পারে না। শিরীন আখতার বলেন, কৃষক, পোশাকশ্রমিক এবং অভিবাসী শ্রমিকরা অর্থনীতির কারিগর। তারা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। তাদের ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে। তাদের ওপর দেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে, তাই তাদের অবহেলা নয়। আমরা যারা সংসদ সদস্য, বিনা পয়সায় চিকিৎসা পেলে তারা কেন পাবে না। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কর্মজীবী নারী সংগঠনের সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বু্যরো অব ম্যান পাওয়ার এমপস্নয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) পরিচালক (ট্রেনিং অপারেশন) মো. নূরুল ইসলাম, ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ সাইফুল হক। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন রাহেলা রাব্বানী। আলোচনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. উত্তম কুমার দাস, অ্যাসোসিয়েশন ইউথ ডেভকনসালট্যান্টস লিমিটেডের (ডেভকম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ইমাম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সারওয়াত বিনতে ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রোকেয়া রফিক।