শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শীতে বেড়েছে রুম হিটারের কদর

নতুনধারা
  ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৩১
রাজধানীর একটি দোকানে রাখা রুম হিটার -যাযাদি

যাযাদি রিপোর্ট ঋতু বদলের চক্রে এসেছে শীত। মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে সারাদেশ। শিশু ও প্রবীণদের জন্য এই শীত সহ্য করা বেশ কঠিন। বাইরের ঠান্ডা হওয়ায় কমেছে ঘরের তাপমাত্রা। হাড় কাঁপানো এ শীতে প্রযুক্তির বদৌলতে ঘরের স্বস্তি রুম হিটার। রাজধানীতে শীতের শুরুতেই রুম হিটারের কদর বেড়েছে। ঘরের শীত মোকাবিলার জনপ্রিয় এ যন্ত্রটি বেশ বিক্রি হচ্ছে। আগামী দুই মাস এ চাহিদা আরও বাড়বে বলছেন বিক্রেতারা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, বাড্ডা, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশান ও গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী বিক্রির শোরুমগুলোতে বেশিরভাগ ক্রেতা রুম হিটারের খোঁজখবর নিচ্ছেন। কেউ কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক দিন ধরে যন্ত্রটির বিক্রি বেড়েছে। শীতকে জয় করতে নামিদামি অনেক ব্র্যান্ড রুম হিটার নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে ভিশন, সিঙ্গার, মিয়াকো, সাচি ও নোভা অন্যতম। ছোট, বড়, মাঝারি তিনটি ধরনের রুম হিটার বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২শ থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। এ ছাড়া সিঙ্গারসহ বেশ কয়েকটা ব্র্যান্ডের বড় রুম হিটারও রয়েছে; যার দাম পড়বে ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। প্রত্যেকটির সঙ্গে এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবার প্রতিশ্রম্নতি। তবে বাজারে থাকা রুম হিটারের সুবিধা হচ্ছে প্রত্যেকটির সঙ্গে ফ্যান থাকে, যা গরমেও ব্যবহার করা যায়। ফলে এটি সারা বছর সচল থাকবে, সহজে নষ্ট হবে না। মধ্যবাড্ডার হল্যান্ড সেন্টার শপিং কমপেস্নক্সে ভিশন ব্র্যান্ডের শোরুমে বিক্রয়কর্মী আব্দুল হাকিম জানান, গত কয়েক দিন ধরে রুম হিটারের বিক্রি বেড়েছে। আজকে সকালেই ৬ থেকে ৭টা বিক্রি হয়ে গেছে। অনেক ক্রেতা এসে দাম জানতে চাচ্ছেন। তবে আজকে বেশি শীত পড়ায় বিক্রি বেশি হচ্ছে। আগামী কয়েক মাস অর্থাৎ শীতের সময়ে রুম হিটারের চাহিদা বেশি থাকবে। তিনি জানান, ভিশন ব্র্যান্ডের রুম হিটারগুলো দেখতে সুন্দর ও দামে সাশ্রয়ী। তিন ধরনের রুম হিটারের দাম পড়বে ১৩শ টাকা থেকে ২২শ টাকা। প্রত্যেকটির সঙ্গে এক বছরের ওয়ারেন্টি রয়েছে। এ ছাড়া সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে প্রত্যেকটির সঙ্গে ফ্যান রয়েছে, যা গরমেও ব্যবহার করা যাবে। আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা-এই সাত অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। আগামী তিন দিন শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়, ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি, যশোরে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, বদলগাছীতে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় ও ডিমলায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি, টাঙ্গাইলে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ফরিদপুরে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে