বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতি সর্বগ্রাসী ধ্বংসাত্মক অপরাধ: দুদক চেয়ারম্যান

যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি সর্বগ্রাসী, সর্বভুক এবং ধ্বংসাত্মক অপরাধ। এটি এমন অপরাধ, যার প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে, অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব পড়ে। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটরদের (দ্বিতীয় ব্যাচ) বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন মামলা করছে, গ্রেপ্তার করছে এবং কোনো কোনো মামলায় সাজাও হচ্ছে। এগুলোকে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের প্রদর্শন বলা যেতে পারে। যাতে অন্যরা দুর্নীতি করতে সাহস না পায়। তিনি বলেন, ঘুষ খাওয়ার অভিযোগে কমিশন অনেককেই গ্রেপ্তার করছে। বিগত সাড়ে তিন বছরে ৮০টি মামলা পরিচালনা করে প্রায় ১০০ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে কি ঘুষ খাওয়া একেবারে বন্ধ হয়েছে? হয়ত হয়নি। কিন্তু যখন ঘুষখোরদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, এতে অন্য ঘুষখোররা হয়ত শঙ্কিত হচ্ছে। এটাই প্রদর্শনের প্রভাব। কমিশন এই কাজটিই করছে। তিনি আরও বলেন, 'তাত্ত্বিকভাবে বলা যায় কমিশনের মামলায় শতভাগ সাজা হওয়া উচিত। কারণ, কমিশনের প্রতিটি মামলা দালিলিক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়। এখানে শোনা কথার সাক্ষীর প্রয়োজন নেই। এরপরও কেন শতভাগ মামলায় সাজা হচ্ছে না? তবে গলদটা কোথায়?' এ সময় তিনি আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, মামলায় হেরে যাওয়ার পেছনে অভিযোগপত্রের ত্রম্নটি, না-কি প্রসিকিউশনের ত্রম্নটি, না অন্য কিছু। এগুলো আপনারা চিহ্নিত করবেন। তিনি বলেন, আপনারা নামিদামি আইনজীবী, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনাদের যোগ্যতা ও কাজের অনুপাতে কমিশন থেকে অর্থ দেয়া হয় না। এ কথা ঠিক। তবে সমাজ, দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনারা দুর্নীতির মতো সর্বভুক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এটা আপনাদের মিশন বলে আমার মনে হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, লিগ্যাল অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মফিজুর রহমান ভূঁইয়া, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে