শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সব প্রতিষ্ঠানকে প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
শনিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ -যাযাদি

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, দেশের অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রকৃতির প্রতি খেয়াল করে না। আমি অবাক হই, দেড় থেকে দুই বছর আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো একটি প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের পাশে রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে ৩০০ ফুট পাহাড় কেটে ফেলছে। বিষয়টি আমাকে খুব পীড়া দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হতে হবে। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১১ বছর আগে দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ ছিল ১৯ শতাংশের নিচে। আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ শতাংশের বেশিতে। শহরে মানুষ বেড়েছে, দালান বেড়েছে, এরপরও বৃক্ষ বেড়েছে। এর কারণ মানুষ সচেতন হচ্ছে। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট চবিতে জন্ম নেয়া প্রতিটি নবজাতকের নামে একটি করে গাছ লাগানোর প্রস্তাব করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহাম্মদ বেলাল। এতে সভাপতিত্ব করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যাপক গিয়াস উদ্দীন আহমেদ, মোহাম্মদ মহিউদ্দীন প্রমুখ। চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অন্য রকম। এটা সবুজ-শ্যামল ছোট ছোট পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। এর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। আমরা আমাদের সিনিয়র শিক্ষক ও যারা এসব বিষয় বোঝেন, তাদের নিয়ে একটি মাস্টারপস্ন্যান তৈরি করেছি, তা শিগগিরই উত্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হবে সুবজ সমারোহকে অক্ষুণ্ন রেখে। আমরা চট্টগ্রামের বড় বড় স্থপতিদের সঙ্গে বসেছি। প্রয়োজনে জিওসিরও সহায়তা নিব। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তি রক্ষা মিশনে ১ নম্বর দেশ। বিভিন্ন দুর্যোগে সবার আগে ছুটে আসে সেনাবাহিনী। শিক্ষা ক্ষেত্রেও এই বাহিনী অনন্য অবদান রেখে চলেছে। সেনাবাহিনী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতেও সম্পৃক্ত। এ সময় তিনি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে নিজেদের নার্সারি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ২ হাজার গাছ দেবেন বলেও জানান। এদিকে সকাল থেকেই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য দূরদূরান্ত থেকে আগত ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে চবি ক্যাম্পাস। পুনর্মিলনীতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণের জন্য ফিরে যান তাদের ক্যাম্পাসের ফেলে আসা স্মৃতিতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে