ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে দুর্নীতি-অনিয়ম-লুটপাট বন্ধ, ঋণখেলাপি, ব্যাংক ডাকাতদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলসহ বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে যাত্রা করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলটি দৈনিক বাংলার মোড়ে পৌঁছার পর পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় জোটের নেতাকর্মীরা দৈনিক বাংলা মোড়ে অবস্থান নিয়ে সেখানেই সমাবেশ করেন।
\হদৈনিক বাংলা মোড়ের সমাবেশে বিপস্নবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশ এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে মাত্র ২ কোটি টাকার জন্য একজনকে ৫ থেকে ৭ বছরের জেল দেওয়া হচ্ছে। আর হাজার হাজার কোটি টাকা লুটকারীরা প্রকাশ্যে, বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
'বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে লুট করা টাকা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বাজারে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের টাকা লুটপাটকারীদের কাউকেই আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। বর্তমান বাংলাদেশে ব্যাংক লুটকারী ও ভোট লুটকারীরা একাকার হয়ে গেছে।'
বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা লুটপাটের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেমন ভারতকে লুট করেছে। তেমনি বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে লুট করছে। সরকারের তৃতীয় শ্রেণির নেতাদের বাসা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হচ্ছে। তাহলে চিন্তা করেন প্রথম শ্রেণির নেতাদের ঘরে কত কোটি টাকা আছে?
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, খালেকুজ্জামান, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুলস্নাহ আল কাফি রতন প্রমুখ।
দৈনিক বাংলা মোড়ের সমাবেশ শেষে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকে স্মারকলিপি দিতে যান।