মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সগিরা হত্যা মামলা: চার্জশিটের তথ্যকে বানোয়াট দাবি

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৪ মার্চ ২০২০, ০০:০০
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত সগিরার পরিবার -যাযাদি

প্রায় ৩০ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ হত্যায় তার ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যে চার্জশিট দাখিল করেছে, তাতে তুলে ধরা অভিযোগকে মিথ্যা, মনগড়া ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে বিবাদীর পরিবার। এমনকি পিবিআইয়ের চার্জশিটে উলেস্নখিত কিছু বক্তব্য খন্ডনও করেছে তারা।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের তদন্ত কার্যক্রম ও চার্জশিটের 'নানা অসঙ্গতি' তুলে ধরেন সগিরার ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিনের (৬৪) সন্তান চৌধুরী দিরাবিজ মাহমুদ ও চৌধুরী মাহির আনসার।

গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সগিরার ভাসুর ডা. হাসান ও তার স্ত্রী শাহিনসহ চারজনকে আসামি করে ১ হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। অন্য আসামিরা হলেন- হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা।

৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৫ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।

চার্জশিটে পিবিআইয়ের উলেস্নখ করা অভিযোগের জবাব দিয়ে চৌধুরী দিরাবিজ মাহমুদ ও চৌধুরী মাহির আনসার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৩০ বছর আগে ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই আমার ছোট চাচি সগিরা মোর্শেদ আমাদের চাচাতো বোন সারাহাত সালমা চৌধুরীকে স্কুল থেকে আনার পথে ছিনতাইকারীদের গুলিতে মারা যান। ওই ঘটনা অনেক নাড়া দিয়েছিল সবাইকে।

\হকিন্তু সে ঘটনায় দায়ের করা মামলা ১৯৯১ সালে হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে যায়, যা গত বছরের জুনে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর বাবা-মা এবং বড় মামা মারুফ রেজাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয় এবং গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই।

দিরাবিজ মাহমুদ ও মাহির আনসার বলেন, ৩০ বছর আগের একটি ঘটনায় নির্দোষ বাবা-মা ও মামাকে ফাঁসাতেই মামলাটি মিথ্যাভাবে সাজানো হয়েছে।

উলেস্নখ্য, ১৯৮৯ সালের ওই হত্যাকান্ডে রমনা থানায় মামলা করেন সগিরার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। পরে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দীক। সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় সাতজনের। সাক্ষীতে মারুফ রেজা নামে এক ব্যক্তির নাম আসায় অধিকতর তদন্তের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<92468 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1