শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা প্রতিরোধে চট্টগ্রামে যত উদ্যোগ

যাযাদি ডেস্ক
  ২১ মার্চ ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২১ মার্চ ২০২০, ১০:২৫
করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরিহিত তিনজন -যাযাদি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে ছুটি ঘোষিত হয়েছে। চীনে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার পর শুরু থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবাসী ও বিদেশিদের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত স্ক্রিনিং করা হয়। জেলা প্রশাসন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিন, কোচিং সেন্টার বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিয়মিত নগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, গুলিয়াখালী সৈকত, বাঁশবাড়িয়া সৈকত, কুমিরাঘাট, বাঁশখালী সৈকত, আনোয়ারা সৈকতসহ সব দর্শনীয় স্থান ও পর্যটন কেন্দ্রে জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নগরের নির্ধারিত কিছু হাসপাতালকে করোনা আক্রান্ত রোগী থাকলে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষও। এ ছাড়া করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মেয়রকে প্রধান করে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রচার, লিফলেট বিলিসহ চসিক জেনারেল হাসপাতালসহ সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। ১৮ মার্চ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়েজ লেক, আগ্রাবাদ জাম্বুরি পার্কে সব ধরনের জনসমাগম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিএমপির পক্ষ থেকে। সৈকতসংলগ্ন এলাকায় দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ যাতে ওই এলাকায় যেতে না পারে তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ১৯ মার্চ চট্টগ্রাম নগরে হোটেল, ক্লাব ও কমিউনিটি সেন্টারে সকল সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগের বুকিং বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে নাগরিকদের। এছাড়া দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে প্রশিক্ষণ শেষে বিদেশফেরত পুলিশ সদস্যদের জন্য কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চট্টগ্রাম আদালতের কার্যক্রমে শিথিলতা আনা হয়েছে। উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিতে পারবেন আসামিরা। এদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আসা আসামিদের থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে কারাগারে প্রবেশ করানো হচ্ছে। কারাগারের ভেতর কোয়ারেন্টিনের জন্য একটি ভবনও প্রস্তুত করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাড়তি দামে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি প্রতিরোধে নিয়মিত বাজার তদারকি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে