আজকের যায়যায়দিন

বাংলাদেশে ক্রিকেটের স্তম্ভ বর্তমান টি২০ অধিনায়ক মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ। মিডল অর্ডারের এ ব্যাটসম্যান অনেক ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছেন। আর তাই পেয়েছেনও অনেক। নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বছরেই তার জন্য সুপারিশ করেছিলেন খোদ ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বর শচিন টেন্ডুলকার। শচিনের সুপারিশেই জীবনের প্রথম স্পন্সরও পান বর্তমান বাংলাদেশ দলের অন্যতম সিনিয়র এ ক্রিকেটার।

২০০৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে ভারত ও পাকিস্তান দল। কাঁধের চোটের কারণে একদম শেষমুহূর্তে ছিটকে যান শচিন টেন্ডুলকার। তবে যাওয়ার আগে মাহমুদউলস্নাহর ব্যাপারে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়ে যান ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসকে। তখন শচিনের স্পন্সর ছিল অ্যাডিডাস। তার কথায় মাহমুদউলস্নাহকেও স্পন্সরশিপের প্রস্তাব দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার রাতে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে এক ফেসবুক লাইভে এ কথা জানিয়েছেন মাহমুদউলস্নাহ নিজেই। তবে প্রসঙ্গটা এনেছিলেন সঞ্চালক কাজী সাবির। শচিনের সেই সফরের কথা মনে করিয়ে দিতেই নিজ থেকে বাকিটা বলেন মাহমুদউলস্নাহ।

তিনি বলেন, 'উনার (শচীন) সঙ্গে খেলেছি ২০০৮ সালে। হোম সিরিজ ছিল আমাদের। আমার অভিষেক হয়েছিল ২০০৭ সালের জুলাইয়ে। ওই সিরিজটাতে আমি মোটামুটি ভালোই করেছিলাম। একদিন আমি অনুশীলন থেকে বাসায় ফিরছিলাম। তখন গাড়িতে একজন আমাকে ফোন দেয়। তখন শচিন স্যারের স্পন্সর অ্যাডিডাস। যেহেতু আমি তরুণ ক্রিকেটার, তখন আমার কোনো স্পন্সর ছিল না। উনি আমাকে বললেন যে, শচিন স্যার সুপারিশ করেছে আপনাকে স্পন্সর করার জন্য।'

অপরাজিত আবাহনীর কাছে পাত্তাই পেল না শেখ জামাল

শচিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মাহমুদউলস্নাহ আর বলেন, 'আমি বুঝতে পারছিলাম না কী বলব। তখন আমি তাকে ধন্যবাদ দেই। হয়তো সামনাসামনি কখনো বলা হয়নি। উনার খেলা দেখে বড় হয়েছি, উনার সঙ্গে খেলতে পারা সৌভাগ্য বলতে হয়। উনার কাছ থেকে এত বড় কমপিস্নমেন্ট এবং সাজেশন পাওয়া অনেক বড় অর্জন। উনাকে সত্যি অনেক ধন্যবাদ।'