যায়যায়দিন : কোথায় আছেন? কেমন আছেন?
আরাফাত : আমাদের বাসা নারায়ণগঞ্জে। এখানেই আছি। ভালো আছি।
যায়যায়দিন : বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনাদের এলাকাটা তো একটু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অনুশীলন কীভাবে করেন?
আরাফাত : ফুটবলে টিকে থাকতে হলে ফিটনেস রক্ষার বিকল্প নেই। সামনেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। মাঠে অনুশীলন করতে যাই। তবে খুব সাবধানতা অবলম্বন করি। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করি। বাইরে থেকে ফিরে গোসল করে নেই। যখন লোকজন কম থাকে ওই সময়টাতেই মাঠে যাই। বাকি সময় বাসাতেই থাকছি।
যায়যায়দিন : বাসাতে সময় কীভাবে কাটে? বিরক্ত লাগে না?
আরাফাত : ছোটবেলা থেকে ফুটবলের সঙ্গেই আছি। সিলেট একাডেমিতেও ছিলাম। এবারই প্রথম এতটা সময় ধরে পরিবারের সঙ্গে আছি। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারছি। খেলার মানুষ মাঠে যেতে পারছি না তার জন্য তো খারাপ লাগেই। তবে পরিবারকে সময় দিতে পারছি সেটা ভেবে ভালো লাগে। কিন্তু ফুটবলটাকে খুব বেশি মিস করছি। মাঠে ফেরার জন্য ছটফট করছি।
যায়যায়দিন : আপনি তো বয়সভিত্তিক দলগুলোতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছেন। সিনিয়র দলের অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্ন আছে?
আরাফাত : আমি অনূর্ধ্ব ১২, ১৪, ১৬ ও ১৯ দলে খেলেছি। অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছি। যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্বও একসময় পাব সে স্বপ্ন তো আছেই। তবে তার থেকে বড় স্বপ্ন জাতীয় দলের হয়ে দেশের জন্য সাফ শিরোপা জেতা।
যায়যায়দিন : প্রিয় স্মৃতি কোনটা?
আরাফাত : জুনিয়র জাতীয় দলে নিয়মিতই খেলেছি। সিনিয়র জাতীয় দলে প্রথম ডাক পাওয়ার স্মৃতি ছিল সব থেকে আনন্দের।
যায়যায়দিন : আপনার প্রিয় খেলোয়াড় কে?
আরাফাত : আমার প্রিয় খেলোয়াড় মার্সেলো।
যায়যায়দিন : কোচ জেমি ডে আবারও জাতীয় দলের দায়িত্বে। তার কোন বিষয়টা ভালো মনে করেন?
আরাফাত : কোচ হিসেবে উনি খুব ভালো। সে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের ফিটনেসের অনেক উন্নতি হয়েছে। তার গেম পস্নান খুব ভালো। উনি আমাদের ফুটবলারদের খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তন এনেছেন। যেমন গরু, খাসি, মিষ্টি, বিরিয়ানি জাতীয় ফ্যাটি খাবার উনি আসার পরই আমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যায়যায়দিন : বলেন কি! একবার বলেছিলেন বিরিয়ানি আপনার অনেক প্রিয় খাবার। তাহলে না খেয়ে কীভাবে থাকেন?
আরাফাত : অনেক কষ্ট হয়। কী করব ফুটবলের জন্য প্রিয় খাবার ছেড়ে দিয়েছি।
যায়যায়দিন : বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে খেলেছেন। পরবর্তী ম্যাচগুলো নিয়ে কতটা আশাবাদী?
আরাফাত : পরের ম্যাচগুলোতে আমরা অবশ্যই ভালো করব এমনটাই আশা করি। কারণ আমাদের তিনটাই হোম ম্যাচ। তার মধ্যে আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষেই আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা বেশি। লাস্ট টিমে আমাদের যে ফিটনেস ছিল। সবাই যদি সে অবস্থায় থাকে তবে আমরা পয়েন্ট পাবই।
যায়যায়দিন : মূল ম্যাচের আগে দেশের বাইরের কোনো দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রত্যাশা আছে আপনাদের। এই পরিস্থিতিতে সেটা কতটা সম্ভব বলে আপনি মনে করেন?
আরাফাত : বাইরে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে তো অবশ্যই ভালো হয়। সেটি সম্ভব না হলে দেশের কোনো দলের সঙ্গে, যেমন বসুন্ধরা আছে। তাদের এএফসি কাপের টিমটার সঙ্গে খেলতে পারলেও আমাদের জন্য ভালো হয়।