আজকের যায়যায়দিন

ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এদেশটির সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর পদত্যাগে হিড়িক পড়ে গেছে। দায়িত্ব পাওয়ার আট মাসের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও রাহুল জোহরি। প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সন্তোষ রাঙনেকারকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হয় গত বছর।

এবার আবার আরেকটি পদত্যাগ পত্র জমা পড়ল বোর্ডে। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ভারতের সাবেক উইকেটকিপার সাবা করিমকেও পদত্যাগ করতে হলো বিসিসিআইয়ের নির্দেশে। ২০১৭-এর ডিসেম্বর মাস থেকে তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বোর্ডের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনো এই নিয়ে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধানের কাজে ও পরিকল্পনায় খুশি ছিল না বোর্ড।

'হঁ্যা, তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তাকে পদত্যাগ করতে বলার অন্যতম কারণ হলো তিনি করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য কোনো বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা হাতে নিতে পারেননি'- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআইয়ের এক সূত্রকে এভাবে উদ্ধৃত করেছে পিটিআই।

প্রস্তুতি ক্যাম্পে হাতে-কলমে শান্তদের শেখানো হবে ম্যাচের সবকিছু

গত বছর ২৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছিলেন রাহুল জোহরি। সেই সময় তার ইস্তফা গ্রহণ করেনি বোর্ড। তবে কয়েকদিন আগে তা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৬ থেকে বোর্ডের সিইও পদের দায়িত্ব পালন করছিলেন জোহরি। ২০২১ পর্যন্ত তার দায়িত্বে থাকার কথা ছিল।

রাহুল জোহরি এক সপ্তাহের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন সাবা করিম। ৫২ বছর বয়সি সাবা করিম এর আগে নির্বাচক ছিলেন।

দেশের জার্সিতে তিনি একটি টেস্ট ও ৩৪টি ওয়ানডে খেলেছেন। ১২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন সাবা। ২২টি সেঞ্চুরি ও ৩৩টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ৭৩১০ রান করেছেন তিনি। বাংলাদেশে ২০০০ সালের এশিয়া কাপ খেলতে এসে অনিল কুম্বলের বলে উইকেট কিপিং করতে গিয়ে চোখে বলের আঘাত পান। মূলত চোখের সেই চোটেই ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে সাবার।