বোলারদের নৈপুণ্যে ওভাল টেস্টের প্রথম দিনের শেষ সেশনে দারুণভাবে ঘুরে দঁাড়িয়েছিল ভারত।
১৯৭ রানেই ইংল্যান্ডের ৭ উইকেট তুলে নিয়ে দিনটি নিজেদের করে নিয়ছিল বিরাট কোহলির দল। স্বাগতিকদের অল্প রানে বেঁধে ফেলার লক্ষ্যটা আর পূরণ হয়নি তাদের। জশ বাটলারের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৮ উইকেটে ৩০৪ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে জো রুট ব্রিগেড।
অ্যালিস্টার কুকের বিদায়ী টেস্টে শুরুটা ভালোই করেছিল ইংল্যান্ড। প্রথম দুই সেশন ছিল তাদের অনুক‚লে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭১ রানে কুকের বিদায়ের পরই মড়ক লাগে ইংলিশ শিবিরে। তৃতীয় সেশনে ভারতীয় বোলাদের দুদার্ন্ত বোলিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। মিডলঅডাের্র কেউই টিকতে পারেননি ক্রিজে। অধিনায়ক রুট আর উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্ট্রো তো শূন্য মেরে দলকে বিপদের মুখে ঠেলে দেন। অলরাউন্ডার বেন স্টোকসও আউট হন ১১ রানে। এরপর মঈন আলি (৫০) আর ইনফমর্ স্যাম কুরানকে (০) হারিয়ে একটা সময় দুই শ’র আগেই অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে ইংলিশ শিবিরে।
ইংল্যান্ড ১৮৭ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর বাটলারের লড়াই শুরু হয়। লেগস্পিনার আদিল রশিদকে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় নিবিের্ঘœই কাটিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। শনিবার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আরও ১৭ রান যোগ করার পর বুমরাহর বলে এলবিডবিøউ হয়ে ফিরেছেন রশিদ (১৫)। প্রথম সেশনে ভারতের সাফল্য বলতে গেলে ওইটুকুই। তবে এই উইকেটের সুবাদে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সম্মিলিত উইকেট শিকারে পূবর্বতীের্দর ছাড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পেসাররা। রশিদের উইকেটসহ চলতি সিরিজে বুমরাহ-শামিরা মিলে মোট ৫৯টি উইকেট নিয়েছেন। এর আগে ১৯৭৯/৮০ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে কপিল-ঘাবরি-বিনি জুটি নিয়েছিলেন ৫৮ উইকেট। এতেই প্রমাণিত হয়, নিজেদের ইতিহাসে সেরা পেস আক্রমণ নিয়েই ইংল্যান্ড সফরে গেছে ভারত।
তবে ইতিহাসসেরা পেস আক্রমণ পরে আর সাফল্য এনে দিতে পারেনি ভারতকে; উল্টো লেজের ব্যাটসম্যানকে নিয়ে সফরকারীদের হতাশা উপহার দিয়েছেন বাটলার। আগেরদিন দু’বার জীবন পেয়েছিলেন। সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগালেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নামা স্টুয়াটর্ ব্রডের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৯০ রানের জুটি গড়েন তিনি। সেটিও মাত্র ১০৭ বল মোকাবেলায় ইংল্যান্ডের মন্থর ধারার বিপরীতে ব্যাটিং করে! চলতি সিরিজে নবম উইকেটে এটি সবোর্চ্চ সংগ্রহ স্বাগতিকদের।
বাটলার ৬৩ এবং ব্রড ৩৩ রানে ক্রিজে ছিলেন। দুজনেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন। আর মাত্র ১৩ রান যোগ করতে পারলেই ভারতের বিপক্ষে টেস্টে নবম উইকেটে নিজেদের সবোর্চ্চ জুটির রেকডর্টা ছুঁয়ে ফেলবেন তারা। ২০০২ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে ১০৩ রানের জুটি গড়েছিলেন ক্যামেরুন হোয়াইট-ম্যাথু হগাডর্।
ইংল্যান্ডের স্কোর যে তিন শ পেরিয়ে গেল, তাতে বড় অবদান কিন্তু মি. এক্সটার। মোট ৩৫ রান অতিরিক্ত খাত থেকে এসেছে। এর মধ্যে বাই থেকেই এসেছে ২৬! এই রানটাই শেষতক ভারতের জন্য কাল হয়ে দঁাড়ায় কি না, কে জানে।