আজকের যায়যায়দিন

রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রæপপবের্র প্রথম ম্যাচ থেকে দল নিবার্চন করা নিয়ে কম বিতকের্র জন্ম দেননি আজেির্ন্টনার কোচ হোহের্ সাম্পাওলি। একে তো মাঠের ভেতরে দলের ব্যথর্তা, অন্যদিকে মাঠের বাইরে নিজের কতৃর্ত্ব হারানোর জোর গুঞ্জন। সংবাদমাধ্যমে খবরে উড়ছিল বিশ্বকাপে ব্যথর্ হলেই চাকরি হারাবেন সাম্পাওলি। তার ওপর শনিবার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে ব্যথর্তার ষোলোকলা পূণর্ করে সবার আগে নকআউট পবর্ থেকে বিদায় নিয়েছে আজেির্ন্টনা। দলের এই ব্যথর্তার বড় একটা দায় বতার্য় কোচের কঁাধে। নিজের দায় স্বীকার করে নিলেও দায়িত্ব ছাড়তে রাজি নন আজেির্ন্টনার কোচ সাম্পাওলি। তার মতে হতাশা থেকে আবেগের বশে নেয়া কোনো সিদ্ধান্তের ফল ভালো হতে পারে না।

গ্রæপপবের্ প্রায় ছিটকে যেতে বসেছিল আজেির্ন্টনা। ঘুরে দঁাড়ানো জয়ে সেই লজ্জা পেতে হয়নি তাদের। কিন্তু শেষ ষোলোতে ফ্রান্সের কাছে পেরে ওঠেনি তারা। বিদায় নিতে হলো ৪-৩ গোলে হেরে। এভাবে বিশ্বকাপ থেকে চলে যাওয়া যন্ত্রণার, বললেন সাম্পাওলি, ‘এভাবে বিদায় নেয়া খুব যন্ত্রণার। কারণ খেলোয়াড়রা অনেক চেষ্টা করেছে। এটা অনেক কঠিন ম্যাচ ছিল। আমরা রাশিয়াতে লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি। আমি দুঃখিত, হতাশ- এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু ব্যথর্ নই। আমাদের খেলায় খুব বেশি পাথর্ক্য ছিল না। আজ কিলিয়ান এমবাপের সন্ধ্যাটা কেটেছে অসাধারণ। বলতে পারেন সে আমাদের শাস্তি দিয়েছে।’

দলের যেকোনো বিপযের্য়র পরপরই কোচের পদে পরিবতর্ন আসাটা খুবই স্বাভাবিক। আর যেখানে সাম্পাওলির কৌশল ও দল নিবার্চনের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার বোঝাপড়া নিয়ে প্রশ্ন আছে, সেখানে ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার পরপরই তার দিকে ছুটে গিয়েছিল প্রশ্ন-পদত্যাগ করবেন কি না! তবে এই প্রশ্নের উত্তরটা আজেির্ন্টনা কোচ দিয়েছেন বেশ কৌশল করেই। কথার মারপ্যঁাচে, ‘দেখুন, আমি যেখানে আছি, আর যেখানে যাওয়ার ক্ষমতা রাখি, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি আজেির্ন্টনার কোচের পদ থেকে সরে দঁাড়াতে চাই না।’

বিশ্বকাপে একেক ম্যাচে একেক একাদশ, একেক ম্যাচে একেক কৌশল- সাম্পাওলির সক্ষমতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ফ্রান্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে লিওনেল মেসিকে ‘ফলস নাইনে’র ভূমিকায় রাখাটা কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে, সেটি নিয়েও প্রশ্নবানে পড়েছেন সাম্পাওলি। তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন, রাশিয়া বিশ্বকাপে আসলে ‘কী করলে কী হবে’ -এ ব্যাপারে কোনো পরিষ্কার পরিকল্পনা বা ভাবনা তার দলের ছিল না, ‘আমরা যা চেয়েছি, সেটা আমাদের মাথায় ছিল। আমরা জিততে চেয়েছি- আমাদের ভাবনায় এটাই ছিল। আমরা বিভিন্ন কৌশল নিয়ে ভেবেছি। প্রয়োগ করেছি। খুব সম্ভবত আমাদের ভাবনা বিশ্বকাপ জয়ের উপযুক্ত ছিল না। আমরা বিশ্বকাপে প্রয়োজন অনুসারে অনেক পরিকল্পনা নিয়েছি। হয়তো সে পরিকল্পনাগুলো সম্পকের্ পরিষ্কার ধারণা আমাদের ছিল না।’

সেমিতে মোহামেডানের সঙ্গী হলো পুলিশ

মেসির নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই সাম্পাওলির। তিনি বরং স্বীকার করেছেন মেসির মতো খেলোয়াড়কে ব্যবহার করতে ব্যথর্ হয়েছে তার দল, ‘বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ই আমাদের দলে ছিল, আমাদের উচিত ছিল সবাই মিলে মেসির অনুক‚লে পরিস্থিতি তৈরি করা। আমরা তার জন্য বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেছি। তাকে ঘিরে খেলা, তার জন্য জায়গা বের করা, অনেক সময় সে যা করতে চেয়েছে, সেটাই করতে দেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই সেটা আমরা করতে পারিনি। প্রয়োগ করতে পারিনি সে ভাবনাগুলো।’

সবশেষে খেলোয়াড়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন কোচ, ‘আমি সব খেলোয়াড়কে তাদের চেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানাই এবং এএফএকে, যারা আমাদের সব দিয়েছে। কিন্তু আমরা কিছু করে দেখাতে পারলাম না। আজেির্ন্টনাকে জেতানোর জন্য দুদার্ন্ত একটি পরিকল্পনা সাজিয়েছিলাম আমি। তবে এই বিশ্বকাপ আমাকে কোচ হিসেবে আরও পরিণত করবে।’