আনফিট থাকায় রাজকোটে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি জেসন হোল্ডার। পেসার কেমার রোচও ছিলেন না দলে। স্বাগতিক ভারতের কাছে ওই ম্যাচটা তিনদিনেই হেরে যায় ক্যারিবীয়রা। হায়দরাবাদে আজ থেকে শুরু হচ্ছে সিরিজ নিধার্রণী দ্বিতীয় টেস্ট। সফরকারিদের জন্য সুখবর- এই ম্যাচে অধিনায়ক হোল্ডার আর রোচ দু’জনই ফিরছেন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘুরে দঁাড়াতে পারবে কিনা প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
একটা সময় ক্রিকেট দুনিয়া শাসন করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টে তাদের সঙ্গে লড়াই জমিয়ে তুলবে এমন সাধ্যি ছিল না কারোর। সবই এখন অতীত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টি২০ আর ওয়াডেতে যেমনই হোক সাদা পোশাকে ক্যারিবীয়দের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। বোডের্র সঙ্গে ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা নিয়ে দ্ব›দ্ব, টেস্ট খেলতে অনীহা ইত্যাদি কারণে সেরা ক্রিকেটারদের পাচ্ছে না দলটি। নবাগতদের নিয়েই এখন দীঘর্ ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাচ্ছে ক্যারিবীয়রা।
এতকিছুর পরও গত তিন-চার বছরে বিদেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব একটা খারাপ খেলেনি। ইংল্যান্ড আর আরব-আমিরাতের মাটিতে বাজে হারের পরও ঘুরে দঁাড়ানোর নজির দেখিয়েছে তারা। ভারতের বিপক্ষে কি এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবে দলটি? ইতিহাস অবশ্য হোল্ডার বাহিনীর বিপক্ষে কথা বলছে। ১৯৯৪ সালের পর ভারতের মাটিতে কোনো টেস্টে জেতেনি ক্যারিবীয়রা। এছাড়া মাত্র তিন দিনেই সবের্শষ তিনটি ম্যাচে হেরেছে তারা। হোল্ডার তাই খুব একটা আশা দেখাচ্ছেন না, ‘আমরা র্যাংকিংয়ের শীষর্ দলের বিপক্ষে তাদের মাটিতে খেলছি। ইতিহাস বলছে- এখানে ১৯৯৪ সালের পর কোনো টেস্টে জয় পাইনি আমরা। এই সময়টাতে ব্রায়ান লারার মত ক্রিকেটারও কিন্তু দলে ছিল।’
অন্যদিকে কাগজ-কলমে এগিয়ে থাকলেও ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি হালকাভাবে নিচ্ছেন না ক্যারিবীয়দের। সতীথের্দর সতকর্ করে তিনি বলেছেন, ‘এটা দুই ম্যাচের সিরিজ। কাজেই তারা ঘুরে দঁাড়াতে সবোর্চ্চটা দিয়েই লড়বে।’
রাজকোটের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে আগে ব্যাটিং করে তিন সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছিল ভারত। হায়দরাবাদেও প্রথম তিনদিন উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে। কাজেই ‘টস’ একটা বড় ফ্যাক্ট হয়ে দঁাড়াবে। ভারত অপরিবতির্ত একাদশ নিয়েই খেলতে নামছে। লেগস্পিনার দেবেন্দ্র বিশুর জায়গায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সুযোগ দিতে পারে বঁাহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানকে।