শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুইডেন নাকি সুইজারল্যান্ড?

ক্রীড়া ডেস্ক
  ০৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
২৪ বছর ধরে বিশ্বকাপের কোয়াটার্র ফাইনাল খেলতে না পারার আক্ষেপটা এবার ঘোচাতে চায় সুইডেন। সেজন্য আজ দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডকে হারাতে হবে সাবেক রানারআপদের Ñওয়েবসাইট

দুই যুগ ধরে বিশ্বকাপের কোয়াটার্র ফাইনালে খেলার অপেক্ষায় সুইডেন। তাদের অপেক্ষাটা যদি দীঘর্ হয় তবে সুইজারল্যান্ডের ক্ষেত্রে কী বলা যায়? সবের্শষ ১৯৫৪ সালে যে শেষ আটে খেলেছিল দলটি! তবে সেন্ট পিটাসর্বাগের্ আজ কেবল একটি দলই আক্ষেপ ঘুচানোর সুযোগ পাবে। কারণ, দীঘর্ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে তাদের লড়তে হবে একে অপরের বিপক্ষে।

বিশ্বকাপে দ্বিতীয় আসরে অংশ নিয়েই কোয়াটার্র ফাইনালে উঠে গিয়েছিল সুইডেন। পরের দুটি আসরেই তারা খেলেছিল সেমিফাইনাল। ১৯৫৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দলই ছিল তারা। কিন্তু পেলের ব্রাজিলের কাছে ফাইনালে আর পেরে ওঠেনি সুইডিশরা। তবে পরবতীের্ত কোনো একটি আসরে চ্যাম্পিয়ন হবে সুইডেন এমনটাই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু বিধি বাম! পরবতীর্ আট টুনাের্মন্টে তাদের সবোর্চ্চ অজর্ন বলতে ছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা।

কালের গভের্ হারিয়ে যেতে বসা সুইডেনকে টেনে তুলেছিল একটা প্রজন্ম। ১৯৯৪ সালে মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত আসরে দলকে সেমিফাইনাল পযর্ন্ত নিয়ে গিয়েছিল তারা। এরপর আবারও সুইডিশদের পতন। পরবতীর্ পঁাচ আসরের তিনটিতে খেলারই সুযোগ পায়নি দলটি। ২০০২ আর ২০০৬ সালে কোয়ালিফাই করে শেষ ষোলোতে থেমে গিয়েছিল তারা। নিজেদের ইতিহাসের সেরা তারকা জাতালন ইব্রাহিমোভিচ থাকার পরও দুটি বিশ্বকাপের বাছাইপবর্ উতরানো হয়নি সুইডিশদের।

ইব্রার বিদায়ের পর নতুন করে গড়ে ওঠে সুইডেন। বাছাইপবের্ চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি আর তিনবারের রানারআপ হল্যান্ডকে বিদায় করে তারা জায়গা করে নেয় মূলপবের্। এরপর ‘এফ’ গ্রæপ থেকে জামাির্নকে পেছনে ফেলে মেক্সিকোর সঙ্গে কেটেছে শেষ ষোলোর টিকিট। এবার তাদের লক্ষ্য কোয়াটার্র ফাইনালে খেলা। দলে বড় কোনো তারকা না থাকলেও সংঘবদ্ধ শক্তিতে বলীয়ান সুইডেন। অনেকে তো বলছেন, ১৯৯৪ সালের পর এবারই সবচেয়ে ভালো দলটা পেয়েছে তারা।

সুইডেনের মতো বিশ্বকাপের প্রথমদিকে আসরগুলোতে ভালো করেছিল সুইজারল্যান্ডও। ১৯৩৪ আর ১৯৩৮ সালের আসরের কোয়াটার্র ফাইনালে খেলেছিল সুইসরা। এরপর ১৯৫৪ সালে স্বাগতিক হিসেবে তারা শেষ আটে ওঠে। কিন্তু এরপর আর বৈশ্বিক আসরে খঁুজে পাওয়া যায়নি সুইজারল্যান্ডকে। গত ৬৪ বছরে তিনবার কেবল দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লেখাতে পেরেছে তারা। সুইডেনকে হারিয়ে দীঘর্ দিনের আক্ষেপটা আজ ঘোচাতে চায় সুইজারল্যান্ড। দলীয় কোচ ভøাদিমির পেতকোভিচ জানিয়েছেন এমনটাই, ‘আমাদের অনেক বড় একটা লক্ষ্য আছে। পরবতীর্ লক্ষ্য হলো সুইডেনকে পরাজিত করা।’

দারুণ ছন্দে থাকা সুইজারল্যান্ডের পক্ষে জয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব। গত বছরের নভেম্বরের পর থেকে কোনো ম্যাচে হারেনি দলটি। গ্রæপ পবের্ অজেয় থেকেই শেষ ষোলোতে নাম লিখিয়েছে তারা। দারুণ রক্ষণভাগের সঙ্গে আছে কাযর্করী আক্রমণভাগ। যদিও সুইডেনের বিপক্ষে সেরা দুই ডিফেন্ডার লিখস্টেইনার আর ফাবিয়ান স্কারকে পাচ্ছে না সুইজারল্যান্ড। নামের পাশে দুটি হলুদ কাডর্ থাকায় সাসপেনশনে আছেন তারা। অপরদিকে সুইডেন মিস করবে তাদের মাঝমাঠের গুরুত্বপূণর্ খেলোয়াড় সেবাস্তিয়ান লারসনকে।

দুই দলের দ্বৈরথটা বেশ জমজমাট। তারা এখন পযর্ন্ত ২৯ বার মুখোমুখি হয়েছে একে অপরের। ১১ জয়ে এগিয়ে আছে সুইজারল্যান্ড। সবের্শষ সাক্ষাৎ ২০০২ সালের প্রীতি ম্যাচে। ১-১ গোলে ড্র হয় ওই ম্যাচটি। মজার ব্যাপার কি জানেন? এবারই প্রথম কোনো আন্তজাির্তক আসরে মুখোমুখি হচ্ছে তারা। এই লড়াইয়ে জিতবে কে? সেন্ট পিটাসর্বাগের্ শেষ হাসিটা কিন্তু হাসতে পারে যে কেউই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে