‘রহমতগঞ্জ আইলো!’ ঢাকার ফুটবলে একসময় বড় ক্লাবগুলোর কাছে এমন আতঙ্কের নাম ছিল পুরনো ঢাকার এই ক্লাবটি। গত কয়েকটি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে তারা বড় ক্লাবগুলোকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছে। এবারও পেশাদার লিগে চকম দেখাতে চায় রহমতগঞ্জ। তবে মৌসুমসূচক টুনাের্মন্ট ফেডারেশন কাপ নিয়ে বড় কোনো স্বপ্ন দেখছে না তারা।
মাঝারি মানের দল গড়লেও এই মৌসুমে জায়ান্ট কিলার হিসেবে নিজেদের নামের সুখ্যাতি ধরে রাখতে চায় রহমতগঞ্জ। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ বলেন, ‘এবার আমাদের দল ভালো হয়েছে। দেশি ফুটবলারদের অধিকাংশই পুরনো এবং সিনিয়র খেলোয়াড়। বিদেশি ফুটবলারও ভালো হয়েছে। আমরা চারজন বিদেশি নিয়েছি। তাদের মধ্যে দুইজন নাইজেরিয়ান, একজন কঙ্গো এবং এশিয়ান কোটায় একজন জাপানি ফুটবলার নিয়েছি। আমাদের কোচ হিসেবে রয়েছেন গোলাম জিলানী। এটুকু বলতে পারি, এবার আমাদের থেকে পয়েন্ট নিয়ে যাওয়া খুব সহজ হবে না।’
বড় বড় ক্লাবগুলোকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে লিগে বরাবরই ভালো শুরু করে রহমতগঞ্জ। কিন্তু লিগের মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেলে। গত আসরে তারা দশম স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছে। এর কারণটা কি পাতানো ম্যাচ? ইমতিয়াজ হামিদের উত্তর, ‘আমরা কখনো পাতানো ম্যাচ খেলিনি, এবারও খেলব না। লিগে প্রথমপবের্ ভালো করেও দ্বিতীয়পবের্ খারাপ করার একটা কারণ আছে। সেটা হলোÑ লিগের মাঝপথে বড় ক্লাবগুলো আমাদের ফুটবলারদের সঙ্গে গোপনে চুক্তি সেরে নেয়। তখন তারা মনযোগ দিয়ে খেলে না। এভাবেই আমরা লিগে সবসময় প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পাই না।’
পুরান ঢাকার ক্লাবটি ফেডারেশন কাপ নিয়ে বড় কিছুর আশা দেখছে না। কারণটা জানালেন দলীয় কোচ জিলানী, ‘রহমতগঞ্জের নিজস্ব ক্লাব মাঠে গরুরহাট বসায় অনুশীলনের অনুপযোগী। ফলে আমরা অন্যত্র অনুশীলন করছি মাসখানেক ধরে। অনুশীলনের ঘাটতি থাকায় আমরা ফেডারেশন কাপ নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী নই। আমাদের ভাবনা লিগ নিয়ে। আমরা লিগে সম্মানজনক ফল করতে চাই।’