আধা পয়েন্ট বঁাচাতে বিস্ময়করভাবে মাত্র ৫৯ রানেই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল ঢাকা মেট্রো। দলটি চেয়েছিল বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে যে সুবিধা পেয়েছে প্রতিপক্ষ ঢাকা বিভাগের বোলাররা, সেই সুবিধা আদায় করতে। কিন্তু সেটা তারা পারেনি। শুভাগত হোমের সেঞ্চুরি আর রনি তালুকদারের হাফসেঞ্চুরিতে ঢাকা বিভাগ গড়ে ৩৮৬ রানের বড় পুঁজি। ফলে ৩২৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামতে হয় ঢাকা মেট্রোকে। এবারও সুবিধা করতে পারেনি দলের ব্যাটসম্যানরা। ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে ইনিংস এবং ১৬১ রানের বড় পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে তারা।
বোলারদের নৈপুণ্যে তৃতীয় দিনেই জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা বিভাগ। চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় পরাজয় দেখল ঢাকা মেট্রো। তাদের এই পরাজয়ের পেছনে ব্যাটসম্যানরাই দায়ী। প্রথম ইনিংসে ৫৯ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়েছিল তারা। সালাউদ্দিন শাকিল আর সুমন খান ধসিয়ে দিয়েছিলেন তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। দ্বিতীয় ইনিংসে ওই কাজটাই করেছেন তাইবুর রহমান আর মোশাররফ হোসেন মিলে। ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইবুর, ৩৪ রানে ৩টি মোশাররফ। দারুণ এক সেঞ্চুরি হঁাকানোর পর বল হাতেও ২টি উইকেট নিয়েছেন শুভাগত।
২ উইকেটে ৫৯ রান নিয়ে ইনিংস পরাজয় এড়াতে তৃতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করে ঢাকা মেট্রো। কিন্তু ওপেনার সাদমান ইসলাম ছাড়া এদিন তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই ঠিক সুবিধা করে উঠতে পারেনি। আগের দিনের ২৬ রানের সঙ্গে আরও ৪০ রান যোগ করে ৬৬ রানের মাথায় শুভাগতর বলে তাইবুরকে ক্যাচ দিয়েছেন সাদমান। মোহাম্মদ আশরাফুল ৩৪ আর জাবিদ হোসাইন ১৩ রান করেছেন। সাদমানের পর এই দুজন ছাড়া মেট্রোর আর কোনো ব্যাটসম্যান এদিন দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
এদিকে, চট্টগ্রাম আর সিলেট বিভাগের মধ্যকার দ্বিতীয় স্তরের অপর ম্যাচটি তৃতীয় দিনেও মাঠে গড়ায়নি। প্রথম স্তরের বরিশাল আর খুলনা বিভাগের ম্যাচের অবস্থাও একই। তবে রংপুর আর রাজশাহী বিভাগের মধ্যকার প্রথম স্তরের অপর ম্যাচটি এগিয়ে চলেছে নিবিের্ঘœ। রংপুর ক্রিকেট গাডেের্ন ওই ম্যাচে তৃতীয় দিন শেষে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে স্বাগতিক রংপুর বিভাগ। ইতোমধ্যেই ১০৮ রানের লিড নিয়েছে দলটি। প্রথম ইনিংসে রংপুরের ৩৩৬ রানের জবাবে ২৪৮ রানে অলআউট হয়েছে রাজশাহী। ৮৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা রংপুর এক উইকেট হারিয়ে ২০ রান তুলেছে।
এর আগে ২ উইকেটে ৬৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করে রাজশাহী। দিনের শুরুতেই জুনায়েদ সিদ্দিকীকে (৪৮) হারায় তারা। রংপুরের দুই পেসার শুভাশিষ রায় আর রবিউল হকের তোপ সামলে রাজশাহীকে এগিয়ে নিয়েছে ফরহাদ হোসেনের ব্যাট। ৭১ রানের এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। জহুরুল ইসলাম ৩৩ আর সানজামুল ২৫ রান করেছেন। ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন শুভাশিষ আর রবিউল।