বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
অনূধ্বর্-১৫ সাফ

ফাইনালে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের এই উচ্ছ্বাস সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নাম লেখানোর। বৃহস্পতিবার নেপালের আনফা কমপ্লেক্স মাঠে নাটকীয়তায় ভরা সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ভারতকে হারিয়েছে তারা বাফুফে

অনূধ্বর্-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুদার্ন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়েছে পারভেজ বাবুর শিষ্যরা। নিধাির্রত সময়ের খেলা শেষে স্কোরলাইন ছিল ১-১ সমতায়। এরপর ভাগ্যের খেলায় লাল-সবুজ জাসির্ধারীদের হাসি, অতঃপর ফাইনালে নাম লেখানো। আগামীকাল অনুষ্ঠেয় সেই ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। স্বাগতিক নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে নাম তুলেছে দলটি। নেপালের কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে পিছিয়ে পড়েও দুদার্ন্তভাবে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ১৭ মিনিটে পাত্রি হারসে শৈলেষের গোল শঙ্কার মেঘে ঢেকে দিয়েছিল ‘এ’ গ্রæপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে নাম লেখানো বাংলাদেশের সম্ভাবনার আকাশ ছেঁায়া। তবে ভড়কে যায়নি পারভেজ বাবুর শিষ্যরা। পিছিয়ে পড়লেও মরিয়া হয়ে খেলেছে সমতা ফেরানোর জন্য। এর সুফলও মিলেছে। ৩৭ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু নাজমুল আহমেদের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় সেটা হয়নি। পিছিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বিশ্রাম শেষে মাঠে ফিরে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় তারা। সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগানো যাচ্ছিল না। ৫৮ মিনিটে ইবনে আহাদ শাকিলের কনাের্র সতীথের্র হেড সাইডবারের পাশ দিয়ে গেলে সুযোগ হাতছাড়া হয়। ৭৩ মিনিটে বাধার দেয়াল গড়ে দঁাড়িয়ে গেলেন ভারতের গোলরক্ষক। আক্রমণের পর আক্রমণে ভারতীয় শিবিরে কঁাপন ধরিয়েও গোলের দেখা পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। তাতে বিদায়ের ঘণ্টা প্রায় বেজেই গিয়েছিল। অবশেষে ইনজুরি টাইমে স্বস্তি ফেরে। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহ‚তের্ গোল করে সমতা আনেন আশিকুর রহমান (১-১)। নিধাির্রত সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। নেপালকে হারানোর ম্যাচে লাল কাডর্ পাওয়ায় সেরা চারের লড়াইয়ে বাংলাদেশের পোস্টের নিচে ছিলেন না নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা। এদিন টাইব্রেকারে তার অভাব বুঝতেই দেননি আরেক গোলরক্ষক মেহেদী হাসান। তার অসাধারণ নৈপুণ্যেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের খেলোয়াড়দের দুটো শট রুখে দিয়েছেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষে গোল করেন তৌহিদুল ইসলাম, রাজা আনসারি, কামরান উদ্দিন ও রোস্তম ইসলাম। ২০১৫ সালে নিজেদের মাঠে এই ভারতকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার অবশ্য প্রতিযোগিতাটি হয়েছিল অনূধ্বর্-১৬ বছর বয়সীদের নিয়ে। ২০১৭ সালে থেকে এএফসি অনূধ্বর্-১৬ টুনাের্মন্টের সঙ্গে সঙ্গতি রাখার জন্য অনূধ্বর্-১৫ বয়সীদের নিয়ে টুনাের্মন্টটি হচ্ছে। সেখানে আবার ফাইনালে বাংলাদেশ। এখন শিরোপা পুনরুদ্ধারের হাতছানি তাদের সামনে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে