সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সাফ অনূধ্বর্-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ। নিজেদের অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে মাঠের পারফরম্যান্সে ঢেলে দিয়েছে এখন স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নেপালের আনফা কমপ্লেক্স মাঠে আজ আরও একবার লাল-সবুজ পতাকা উড়ানোর অপেক্ষায় একদল কিশোর। পারভেজ বাবুর শিষ্যরা অপেক্ষায়, ফাইনালে আজ পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপার উৎসব করার। বাংলাদেশ সময় দুপুর পৌনে তিনটায় ম্যাচটি শুরু হবে।
২০১৫ সালে নিজেদের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে টুনাের্মন্টের প্রথম শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের কিশোররা। সেবার অবশ্য সাফের এই আসরটি হয়েছিল অনূধ্বর্-১৬ বছর বয়সীদের নিয়ে। ২০১৭ সালে থেকে এএফসি অনূধ্বর্-১৬ টুনাের্মন্টের সঙ্গে সঙ্গতি রাখার জন্য অনূধ্বর্-১৫ বয়সীদের নিয়ে টুনাের্মন্টটি হচ্ছে। এই পযাের্য়ও এখন নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের পালা। গত আসরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। হাতছাড়া হয়েছিল শিরোপা। আজকের ফাইনাল তাই বাংলাদেশের কিশোর ফুটবলারদের জন্য শিরোপা পুনরুদ্ধারের মঞ্চ।
মেহেদী হাসানের দল পারবে? আসরে এখন পযর্ন্ত দলটির যা পারফরম্যান্স তাতে আশা করাই যায়। মালদ্বীপকে গ্রæপ পবের্র প্রথম ম্যাচে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েছিল ২-১ গোলে। এরপর সেমিফাইনালে টুনাের্মন্টের বতর্মান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে পারভেজ বাবুর শিষ্যরা নাম তুলেছে ফাইনালে। বাংলার অদম্য কিশোররা এখন ফাইনালে পাকিস্তান বধের অপেক্ষায়। সেই অপেক্ষা ঘুচানোর লক্ষ্য নিয়েই আজ খেলতে নামবে তারা।
সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়েও জয় উদযাপন করেনি বাংলাদেশ। কারণ, উদযাপনটা তারা শিরোপা জিতেই করতে চায়। দলীয় অধিনায়ক মেহেদী জানিয়েছেন চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞার কথা, ‘ফাইনাল ম্যাচটার দিকেই আমাদের সব মনোযোগ। এই ম্যাচটা জিততেই হবে আমাদের। ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের পতাকা বিদেশের মাটিতে উড়াতে পারব। পাকিস্তান শক্ত প্রতিপক্ষ। সেটি আমাদের মাথায় আছে। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ফাইনাল জিততে চাই। এতদিন স্যাররা আমাদের যা শিখিয়েছেন সেটি যদি মাঠে প্রয়োগ করতে পারি ইনশাল্লাহ ম্যাচটা আমরা জিতব।’
বাংলাদেশ দলের কোচ পারভেজ বাবু প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে সমীহ করছেন। তবে শিষ্যদের ওপর অগাধ আস্থা তার। শিষ্যদের কৃতিত্ব দিয়ে ফাইনালপূবর্ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলে ছেলেরা ফাইনালে এসেছে। সম্পূণর্ কৃতিত্বই তাদের। আমরা তাদের যেভাবে বলেছি, যে কৌশল অবলম্বন করতে বলেছি তারা সেটিই করেছে। ফাইনালে শক্ত প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। ফাইনালটাকে আমরা ফাইনালের মতো করেই খেলব।’
টুনাের্মন্টে বাংলাদেশ দল একটি ম্যাচও হারেনি। কোচ পারভেজ বাবু এর কৃতিত্বও দিয়েছেন ফুটবলারদেরই। ফাইনালের জন্য তার দল প্রস্তুত বলেও জানান বাংলাদেশ দলের কোচ, ‘বিষয়টা খুবই আনন্দের যে আমরা এই পযর্ন্ত একটি ম্যাচও হারিনি। ফুটবলাররা উজ্জীবিত আছে। ফাইনালে ফুটবলাররা তাদের শতভাগ দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘টুনাের্মন্টে আমার দেখা মতে পাকিস্তান সব থেকে শক্তিধর দল। শারীরিক গঠনে তারা আমাদের থেকে এগিয়ে। আমাদের ফুটবলাররা সেভাবেই পাকিস্তান দলকে মোকাবেলা করবে। তাদের দুবর্লতা এবং সবলতা নিয়ে আমরা কাজ করেছি। দলে বড় কোনো ইনজুরি নেই। ছেলেরা ম্যাচের জন্য প্রস্তুত আছে।’