২০০৩ সালে ছিলেন বাংলাদেশের সাফ জয়ী দলের সদস্য। ১৫ বছর বাদে মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ আবারও জিতলেন সাউথ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসর। তবে এবার কোচের ভূমিকায়। বাংলাদেশ অনূধ্বর্-১৫ দলকে সাফের সেরা করে বিজয়ীর বেশে ফেরা লাল-সবুজ কোচ হাসিমুখেই জানালেন, শিরোপার স্বাদটা সবকিছুর ওপরে।
পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শনিবার সাফ অনূধ্বর্-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা হয়েছে বাংলাদেশের কিশোররা। শিরোপা হাতে রোববার বিকাল ৩টায় ফিরেছে দেশে। হযরত শাহজালাল আন্তজাির্তক বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে সব প্রশ্নের উত্তর দেন লাল-সবুজ কোচ।
‘চ্যাম্পিয়নের স্বাদই আলাদা। তখন খেলোয়াড় ছিলাম, খুব আনন্দে ছিলাম। এবার খুদে খেলোয়াড়দের কোচ হয়েছি। তারাও আমাকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। এটাও আমার জন্যে বিরাট প্রাপ্তি, খুব আনন্দের। সাফে আমরাই প্রথম চ্যাম্পিয়ন ছিলাম, এবার এই ছেলেরা চ্যাম্পিয়ন হলো। এটা ভীষণ আনন্দের।’
মালদ্বীপের বিপক্ষে মূল গোলরক্ষক মিতুল মারমা লাল কাডর্ দেখায় মাঠে নামার সুযোগ পান দ্বিতীয় গোলরক্ষক মেহেদী হাসান। হঠাত পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেমিতে ভারত ও ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইব্রেকারে স্পটকিক ফিরিয়ে হয়ে ওঠেন নায়ক। মেহেদীর এই পারফরম্যান্সকে শিরোপার জন্য দলের ক্ষুধার প্রতিফলন হিসেবেই দেখছেন কোচ।
‘নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমার অনুপস্থিতিতে আমরা মেহেদীকে মাঠে নামাই। সে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে সেও দলের জন্য নিবেদিত। ম্যাচগুলো সে একাই বের করে নিয়ে এসেছে। তার জন্যই আমরা ফাইনালে উঠতে পেরেছি। তার পারফরম্যান্সই আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে যে আমাদের দ্বিতীয় গোলরক্ষকও যেকোনো সময় যেকোনো কিছু করতে পারে।’
নায়ক হতে পেরে নিজেও আনন্দিত মেহেদী। জানালেন নিয়মিত অনুশীলনের কারণেই টাইব্রেকারে ঠান্ডা রাখতে পেরেছেন মাথা, ‘তখন আমার মনে হয়েছে আমি তো এটা অনুশীলনেই শিখে এসেছি। আমার কাছে এটা কোনো বিষয়ই না। কারণ স্যাররা আমাদের সেভাবেই শিখিয়ে এসেছেন। স্যার আমাদের যেভাবে শিখিয়েছেন আমি সেটাই মনে করার চেষ্টা করেছি। চিন্তা করেছি কীভাবে সেভ দিতে পারব। আর আমাদের টাগেের্টই ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তারা আমাদের বলেছিলেন আগে বল দেখো তারপর লাফাও। আমি সেটাই করেছি।’