জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে প্রথম দিনে ঢাকা মেট্রোর হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন মাশার্ল আইয়ুব। তাতে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের পথে মেট্রো দলটি। অপরদিকে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় স্তরের অপর ম্যাচে ক্যারিয়ারের শেষ অধর্শতক দিয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন সিলেট বিভাগের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রাজিন সালেহ।
রাজশাহীতে আগের রাতে হয়েছে বৃষ্টি। তাই শেষ রাউন্ডের প্রথমদিনের উইকেট হয়ে উঠল বোলারদের স্বগর্রাজ্য। বোলারদের কল্যাণে বরিশালকে মাত্র ৯৭ রানে আটকে দিয়ে স্বস্তিতে নেই রাজশাহীও। স্বাগতিক রাজশাহীর বোলার মোহর শেখ নিয়েছেন ৫ উইকেট। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে খুলনা ৮ উইকেটে ২১৭ রান তুলেছে।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে রাজশাহীর বোলারদের তোপের মুখে ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় বরিশালের প্রথম ইনিংস। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বরিশাল। আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যাট হাতে আল-আমিন সবোর্চ্চ ২৫ রান করেন।
স্বাগতিক পেসার মোহর শেখের দাপটে প্রথম ইনিংসে বরিশাল ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে থাকতে পেরেছেন মাত্র ৩৯ ওভার। মাত্র তিনজন পেরেছেন দুই অঙ্কের রান ছুঁতে। মোহর একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। ফরহাদ রেজা শিকার ২ উইকেট। ৩টি নিয়েছেন আরেক পেসার শফিকুল ইসলাম। ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭ রানের লিড পেয়েছে রাজশাহী। কিন্তু হারিয়েছে ৬ উইকেট। ৭২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিকী। অন্যরা তাকে খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেননি। দ্বিতীয় দিনে ৪ উইকেট হাতে রেখে ১২৪ রানে দিন শুরু করবে রাজশাহী।
সোমবার বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে ২১৭ রানে প্রথম দিন শেষ করেছে খুলনা। হাতে আছে ২ উইকেট। অধর্শতকের দেখা পাননি কোনো ব্যাটসম্যানই। ৪৮ রানে দিন শেষ করেছেন মঈনুল ইসলাম। ৩ উইকেট গেছে পেসার রবিউল হকের ঝুলিতে। আরেক পেসার সাজেদুল ইসলামের শিকার ২ উইকেট। লেগস্পিনার তানভীরও হায়দার পেয়েছেন ২ উইকেট।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তজাির্তক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন মাশার্ল আইয়ুব। অধিনায়কের সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রামের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের পথে আছে ঢাকা মেট্রো। ষষ্ঠ রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচের প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ঢাকা মেট্রোর সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৬৫ রান। মাশার্ল ১১০ ও জাবিদ হোসেন ৩০ রানে অপরাজিত আছেন। সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নামে মেট্রো। ৫৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রান করেন আজমির। ৫৫ বলে ২ চারে ২৭ রান করেন সাদমান। শামসুর ৪৮ বলে ২৯, আর আশরাফুল ৪০ বলে করেন ৯ রান। ১৩২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে আসিফ আহমেদের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন মাশার্ল। দিনশেষে ৭৭ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন মাশার্ল ও জাবিদ। এর মাঝেই মাশার্ল পেয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ১৭তম সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান ও শাখাওয়াত হোসেন। ইরফান হোসেন পেয়েছেন একটি উইকেট।