ফেডারেশন কাপ ফুটবল টুনাের্মন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। শনিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কোয়াটার্র ফাইনালে আসরের বতর্মান রানাসর্আপ চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। সেমিফাইনালে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে কাদের পাচ্ছে তা জানা যাবে আজ বসুন্ধরা কিংস আর টিম বিজেএমসির মধ্যকার শেষ কোয়াটার্র ফাইনাল শেষে।
গত আসরে ঢাকা আবাহনীর কাছে ফাইনালে হেরে শিরোপা ছেঁায়া হয়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর। এবার আক্ষেপ ঘোচাতে চেয়েছিল দলটি। কিন্তু কোয়াটার্র ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো তাদের। শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান ফরোয়াডর্ রাফায়েল ওডোইনের একমাত্র গোলটিই চূড়ান্ত সবর্নাশ করেছে চট্টগ্রাম আবাহনীর।
শুরু থেকেই আক্রমণে যায় শেখ রাসেল। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে সতীথের্র উদ্দেশে ফরোয়াডর্ বিপলুর বাড়িয়ে দেয়া বল ক্লিয়ার করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডাররা। ষষ্ঠ মিনিটে বক্সে বল পেয়েও দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন রাফায়েল। ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী তাদের প্রথম সুযোগটি পায় ২৭ মিনিটে। কিন্তু সুবিধাজনক জায়গায় পাওয়া ফ্রিকিক থেকে গোল আসেনি। শট নিয়েছিলেন কিরগিস্তানের ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল, তার শটে বল জটলায় পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সতীথর্রা।
৩৯ মিনিটে রাসেলের ডিফেন্ডার ইয়ামেন মুন্নার দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। প্রথমাধের্ দুই দলই ম্যাড়মেড়ে ফুটবল খেলেছে। হাতে গোনা দু’চারটি আক্রমণ শানালেও প্রথমাধের্ কোনো দলই গোল না করে বিশ্রামে গেছে। দ্বিতীয়াধের্র শুরুতেই আক্রমণের ধার বাড়ায় শেখ রাসেল। আর সেখান থেকেই এক গোল করে এগিয়েও যায় তারা। ৪৭ মিনিটে বঁাপ্রান্ত থেকে উজবেক ফরোয়াডর্ আজিজভ আলিশেরের ক্রসে বক্সে শট নিয়েও ক্লিয়ার করতে পারেননি চট্টলার ডিফেন্ডাররা। বল পেয়ে যান রাফায়েল। কোনাকুনি শটে আবাহনীর জাল কঁাপিয়ে দলকে লিড এনে দেন (১-০)।
৬৪ মিনিটে সুযোগ এসেছিল চট্টগ্রাম আবাহনীরও। কৌশিক বড়য়ার দূরপাল্লার শট বক্সে পেয়ে হেড নেন নাইজেরিয়ান আওয়ালা মাগালান। কিন্তু বলে মাথাই ছেঁায়াতে পরেননি। পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ আসে শেখ রাসেলের। ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে পড়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যথর্ হন ফরোয়াডর্ বিপলু আহমেদ।
ম্যাচের বয়স যখন ৭১ মিনিট বল নিয়ে বক্সের দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন মমদৌবাহ। বল ফিরাতে গিয়ে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করেন রাসেলের এলিসন উদোকা। আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মমদৌবাহ। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে কিছুতেই জ্ঞান ফিরছিল না। সতীথর্ মাগালান কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রায় মিনিট পঁাচেক পর তাকে কিছুটা সুস্থ করতে সক্ষম হয় মেডিক্যাল টিম। তবে মাঠের বাইরে রাখা হয় তাকে। শেষ পযর্ন্ত ম্যাচে ফেরা হয়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর। শেখ রাসেলের কাছে ১-০ গোলের হারে বিদায় নিয়েছে টুনাের্মন্ট থেকে।