মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই পবর্ খেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। যেখানে কঠিন প্রতিপক্ষদের সঙ্গে খেলে অভিজ্ঞতা অজর্নই ছিল মূল লক্ষ্য। তবে সেই অভিজ্ঞতা এতটা তিক্ত হবে, ভাবেনি কেউ। শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ড্র করলেও আগের দুই ম্যাচে মিয়ানমার আর ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হার দেখতে হয়েছে। ওই হারের পেছনে মাঠে সাবিনা-কৃষ্ণাদের ছোট ছোট ভুলকেই কাঠগড়ায় তুললেন দলীয় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
অলিম্পিক বাছাইয়ে প্রতিপক্ষ দলগুলোর খেলোয়াড়দের তুলনায় বয়স আর অভিজ্ঞতাতে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলগুলোতে খেলা ফুটবলাররাই জাতীয় দলের জাসিের্ত খেলেছেন আসরে। দলের বাজে পারফরম্যান্সের পেছনে এই বাস্তবতাকেই সামনে টানলেন কোচ ছোটন, ‘বাস্তবতাটা মানতেই হবে। সেখানে সবাই আমাদের কঠিন প্রতিপক্ষ, সেটি আমরা বলেই গিয়েছিলাম। সেই তুলনায় মেয়েরা যথেষ্ট ভালো করার চেষ্টা করেছে।’
প্রথম দুই ম্যাচে বড় হারের কারণটা কি ছিল, জানতে চাইলে ছোটন বলেছেন, ‘বড় হারের কারণÑ প্রথমত, তাদের সঙ্গে আমাদের মেয়েদের বয়সের বিস্তর ফারাক। বয়স যখন পাথর্ক্য হয়ে যায় তখন শারীরিক একটা পাথর্ক্যও হয়ে যায়। আমাদের মেয়েদের ৮ জন অনূধ্বর্-১৬ দলের, ১১ জন অনূধ্বর্-১৮ বয়সের; শুধু সাবিনার বয়স ২৪ বছর। আমাদের প্রতিপক্ষ দলগুলোর ফুটবলারদের বয়স ২৬ থেকে ৩৬ পযর্ন্ত আছে। নেপাল, মিয়ানমার, ভারতের এই মেয়েরা অনেকদিন ধরে ফুটবল খেলে। তাদের অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি। সিনিয়র ফুটবলাররা গতিময় ফুটবল খেলে। এটাই একটা পাথর্ক্য হয়ে গেছে।’
কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শিষ্যরা যে লড়াকু মানসিকতা নিয়ে খেলেছে তাতে খুশি ছোটন। তার মতে, ছোটখাটো ভুলেই হারগুলো বড় হয়ে গেছে, ‘প্রথম দিন অনেক লড়াই করেছে। কিন্তু ছোট ছোট ভুল ছিল। যেমন রুপনা চাকমা সারাক্ষণ ভালো খেলে ৩৯ মিনিটে বাজে একটা কনার্র থেকে গোল রিসিভ করেছে। অঁাখি দুই মিনিট বাকি ওয়ান টু ওয়ান কাটাতে গিয়ে গোল রিসিভ করেছে। ছোট ছোট ভুল। ভারতের ম্যাচে শুরুটা ছিল খুব ভালো। ১৫ মিনিটে মাসুরার ভুলে পেনাল্টি হওয়াতে এরপরই খাপছাড়া হয়ে গেছে।’
নিজেদের শেষ ম্যাচে শক্তিধর নেপালের বিপক্ষে ড্র করেছে সাবিনারা। কোচ ছোটন এই ড্রকে মেয়েদের উন্নতি হিসেবেই দেখছেন, ‘মাত্র একদিন রিকভারি করেই নেপালের সঙ্গে সমান তালে খেলেছে আমাদের মেয়েরা। আমরা ড্র করেছি। ওই ম্যাচে মনিকার শট ক্রসবারে না লাগলে আমরা জিততেও পারতাম। আমরা এই প্রথম তাদের বিপক্ষে ড্র করেছি। এর আগে সবই হার ছিল। আমি বলব মেয়েরা এখানে উন্নতির ছাপ রেখেছে।’
ছোটন জানালেন, ফেব্রæয়ারিতে মিয়ানমারে অনূধ্বর্-১৬ বাছাই পবর্ আছে। এছাড়া সিনিয়র সাফ ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে হতে পারে। ওই টুনাের্মন্টগুলোকে সামনে রেখে আবারও প্রস্তুতি শুরু করে দেবে বাংলাদেশের মেয়েরা। ইতোমধ্যে ক্যাম্পে চলেও এসেছেন খেলোয়াড়রা। শুক্রবার বিশ্রাম নিয়ে শনিবার মাঠে নেমে পড়বেন তারা।