বল হাতে দুদার্ন্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে চেপে ধরলেন আন্দিলে ফেলুকোয়ো। ২০৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনে যখন ধস, তখন ব্যাট হাতে দঁাড়িয়ে গেলেন তিনি। দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়লেন ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটার। বল-ব্যাটে ক্যারিয়ারসেরা পারফমর্ করে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরালেন এই অলরাউন্ডার।
পঁাচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মঙ্গলবার রাতে ডারবানে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৪৫.৫ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হয়। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২ ওভারে ৫ উইকেটে করে ২০৭ রান। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ এ সমতায়। এরআগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল প্রোটিয়ারা।
প্রথমে ফিল্ডিং নেয়া দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু থেকে চেপে ধরে পাকিস্তানকে। কাগিসো রাবাদা ও ফেলুকোয়োর পেসের সঙ্গে তাবরাইজ শামসির স্পিনে ভেঙে পড়ে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইন। ১১২ রানে ৮ উইকেট হারায় তারা। এরপর পাকিস্তান ঘুরে দঁাড়ায় অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও হাসান আলির ৯০ রানের দারুণ এক জুটিতে। ফেলুকোয়ো নিজের শেষ ওভারে এই জুটি ভাঙেন জোড়া আঘাতে। প্রথমে সরফরাজকে (৪১) বোল্ড করেন। এরপর হাসানকে (৫৯) ফাফ ডু প্লেসিসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। ডানহাতি পেসার ৯.৫ ওভারে ২ মেডেনসহ ২২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া শামসি নেন ৩ উইকেট।
ছোট লক্ষ্যে নেমে স্বাগতিকরাও মুখোমুখি হয় ব্যাটিং ধসের। শাহীন শাহ আফ্রিদির প্রথম তিন ওভারে হাশিম আমলা (৮), রিজা হেনড্রিকস (৫) এবং ডু প্লেসিস (৮) ফিরে যান। ১৫তম ওভারে শাদাব খানের জোড়া আঘাতে পরপর ডেভিড মিলার (৩১) এবং হেনরিখ ক্লাসেন (০) মাঠ ছাড়েন। ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে সিরিজ খেঁায়ানোর শঙ্কায় পড়ে প্রোটিয়ারা। এ সময় প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে ছিলেন কেবল রাসি ফন ডার ডাসেন। তার সঙ্গে ১২৭ রানের বিস্ময় জাগানিয়া জুটি গড়েন ফেলুকোয়ো। দুজনের হাফসেঞ্চুরিতে ৮ ওভার বাকি থাকতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৫৪ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরির দেখা পান ফেলুকোয়ো। অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। তার সঙ্গী ফন ডার ডাসেনের ব্যাট থেকে আসে হার না মান ৮০ রানের ইনিংস। পাকিস্তানের পক্ষে শাহীন শাহ আফ্রিদি ৩ উইকেট নেন, দুটি উইকেট পান শাদাব খান।