অ্যান্টিগার মতো জ্যামাইকা টেস্টেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অনুসরণ করলেন আসা-যাওয়ার পথ। প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ২১৯ রানের হারের ম্যাচে টাইগারদের দুই ইনিংসের সংগ্রহ ৪৩ ও ১৪৪। দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৫৪ রানের জবাবে সফরকারী টাইগারদের প্রথম ইনিংস থেমেছে মাত্র ১৪৯ রানে।
এদিন ফলোঅন এড়াতে আরও ৫ রান কম থাকলেও অবশ্য ক্যারিবীয়রা ফলোঅন করায়নি। বাংলাদেশ গুটিয়ে যাওয়ার পর দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৯ রান। দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের লিড ২২৪, হাতে ৯ উইকেট। একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। আগের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ক্যারিবীয় ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে (৮) বোল্ড করে দেখিয়েছেন সাজঘরের পথ। ব্যাট করছেন ডেভন স্মিথ (৮*) ও কেমো পাওয়েল (০*)।
স্যাবাইনা পাকের্ শুক্রবার দ্বিতীয়দিন সুন্দর এক সকাল উপহার দিয়েছিলেন বোলাররা। ৪ উইকেটে ২৯৫ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে গিয়েছিল মাত্র ৫৯ রান যোগ করেই। স্কোরবোডের্ ২৪ রান যোগ হতেই টাইগার বোলাররা তুলে নেন ৫ উইকেট। ৩১৯ রানে ৯ উইকেট হারানো ক্যারিবীয়রা সাড়ে তিনশ পেরোয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের মারমুখী ব্যাটিংয়ে। এই ডানহাতি ৩৩ রানে অপরাজিত থাকলেও শেষ ব্যাটসম্যান শ্যানন গ্যাব্রিয়েল বোল্ড হলে থামে তাদের ইনিংস। আবু জায়েদ রাহির তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে এ ডানহাতি করেন ১২ রান।
দেশের বাইরে মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথমবার ৫ উইকেট শিকারে স্বাগতিকদের দ্রæত অলআউট করতে পারায় স্বস্তি মিলছিল। কিন্তু আবারও সেই একই চিত্র, সেই পুরনো বাংলাদেশ। ছন্নছাড়া ব্যাটিং প্রদশর্নী। ২০ রানে প্রথমটি, দুটি ডট বলের পর দ্বিতীয়টি। ৭৯ রানে তৃতীয় উইকেট, দুটি ডট বলের পর চতুথর্। ১১৭ রানে পঞ্চম ও পরের বলেই ষষ্ঠ উইকেট। বাংলাদেশ দেড়শর কাছে যেতে পেরেছে তামিম ইকবালের ব্যাটে চড়ে। শুরুতে রিভিউ নিয়ে এলবিডবিøউ থেকে বেঁচে যাওয়া এ বাঁহাতি ওপেনার করেন ৪৭ রান। কেমো পলের বলে বোল্ড হলে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় রান তখন ১১৭। বাংলাদেশের শেষ ৬ উইকেট পড়েছে ৩২ রানে।
সবোর্চ্চ জুটি গড়েছেন তামিম-সাকিব মিলে। শুরুর ২০ রানের মধ্যে লিটন ও মুমিনুলকে হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশকে উদ্ধারের চেষ্টায় তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৫৯ রান। অধিনায়ক সাকিব ৩২ করে হোল্ডারের অফস্ট্যাম্পের উপর করা বল অদ্ভুতভাবে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন। ভাঙে প্রতিরোধ গড়া জুটিটি। দলের পক্ষে সবোর্চ্চ ৪৭ রান করে থামেন তামিম। এছাড়া মুশফিক ২৪ আর তাইজুল ১৮ রান করেন।
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিলেন কেমার রোচ, দ্বিতীয় ইনিংসে গ্যাব্রিয়েল, ৫টি করে উইকেট নিয়ে। ইনজুরির কারণে আগেই ছিটকে গেছেন রোচ। শুরুর দুই উইকেট নিয়ে শুরুটা এদিন করেন গ্যাব্রিয়েল। তবে আসল কাজটা করেছেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। এ ডানহাতি পেসার নিয়েছেন ৫ উইকেট।