সদ্য সমাপ্ত বিপিএলেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাতেই কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের তরুণ অফস্পিনার সঞ্জিত সাহা দ্বীপের ক্যারিয়ার এখন হুমকির মুখে। চাকিংয়ের অভিযোগ থাকায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সঞ্জিতকে নেয়নি কোনো ক্লাব। অবাক করা ব্যাপার হলো কোন বলটা চাক করেছেন এই অফস্পিনার, তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই বিসিবির কাছে। বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির কাছে পরীক্ষা দিয়ে ছাড়পত্র নিয়েই সঞ্জিত খেলতে নামেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে। অথচ বিপিএল শেষ হতে না হতেই জোটে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ। তিনবার ঘটল এমন ঘটনা।
মঙ্গলবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে আরও একবার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে বিপিএল খেলা সঞ্জিত ও রংপুর রাইডার্সের অফস্পিনিং অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম। শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে নাহিদুলকে নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। পরীক্ষায় পাস করতে পারলেই কেবল করতে পারবেন বোলিং।
যার অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সঞ্জিত, সেই ভিডিও অ্যানালিস্ট নাসিরউদ্দিন আহমেদ নাসু জানালেন বিস্ময়কর তথ্য, 'এটা ইন্টারেস্টিং, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই তার (সঞ্জিত) বিরুদ্ধে। আম্পায়াররা বলেছেন, কিছু ডেলিভারি, তবে কোন ধরনের ডেলিভারি সেটা নিয়ে কিছু বলেননি। এবার আমরা চিন্তা করেছি ম্যাচের ভিডিওসহ আম্পায়ারদের সঙ্গে বসে তারপর একটা সিদ্ধান্ত নেব।'
বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পরীক্ষা প্রসঙ্গে বললেন, 'সঞ্জিত সাহা, নাহিদুল ইসলাম ও প্রথম বিভাগের একজন বোলারের পরীক্ষা আমরা নিয়েছি। ১৮টা করে ডেলিভারি তারা করেছে। তাতে তিন ধরনের বোলিং ছিল- স্টক ডেলিভারি, ফাস্টার ডেলিভারি এবং ভ্যারিয়েশন।'
তিন বোলারের পরীক্ষার ফল পেতে চার থেকে পাঁচদিন সময় লাগবে বলে জানালেন তিনি। যদি তাদের অ্যাকশন শুদ্ধ হয় তাহলেই কেবল প্রিমিয়ার লিগে বোলিং করতে পারবেন। নাহিদুল ব্যাটিং করতে পারায় দল পেয়ে গেলেও সমস্যায় পড়েছেন সঞ্জিত। শুদ্ধ হয়ে ফিরতে পারলেও দল পাবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
সঞ্জিতের বোলিং অ্যাকশন কিছুটা ব্যতিক্রমী। বলা যেতে পারে আর দশজন বোলারের মতো নয়। দুইবার নিজেকে শুদ্ধ প্রমাণ করতে গিয়ে আরও ব্যতিক্রমী হয়ে গেছে তার অ্যাকশন। করেন সাইড আর্ম বোলিং।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে যুব বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে সঞ্জিতের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়াররা। সেটা প্রথম। পরে ২০১৭ সালে প্রিমিয়ার লিগ খেলে একই কারণে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। দুইবারই পরীক্ষা দিয়ে ছাড়পত্র পান ২১ বছর বয়সী এ স্পিনার। বিপিএল খেলে একই কারণে অভিযুক্ত হয়েছেন আবারও।