বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে সেমিতে টটেনহাম

ক্রীড়া ডেস্ক
  ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
গোল পাল্টা গোলের রোমাঞ্চে টইটম্বুর ছিল বুধবার রাতে ম্যানচেস্টার সিটি ও টটেনহাম হটস্পার্সের লড়াই। ৭ গোলের এই টানটান উত্তেজনার লড়াইয়ে জিতেছে সিটিজেনরা, কিন্তু অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে টটেনহাম -ওয়েবসাইট

অবিশ্বাস্য! দুর্দান্ত! সব বিশেষণই কম পড়বে টটেনহাম হটস্পার্স ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচ বর্ণনা করতে। কী ছিল না ম্যাচে। বুধবার রাতের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই দুই দলের মধ্যকার ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। ১১ মিনিটেই চার গোল। একবার ম্যানচেস্টার সিটি এগিয়ে গেলে পরের বার এগিয়ে যায় টটেনহাম। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ৪-৩ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ম্যানসিটিই। কিন্তু তারপরও সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি দলটি। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান ৪-৪। অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় মাউরিসিও পচেত্তিনোর টটেনহাম।

ম্যাচের শেষ মুহূর্তে হয় বড় নাটক। সার্জি আগুয়েরোর পাসে রহিম স্টার্লিংয়ের দারুণ এক শটে বল জালে। উলস্নাসে ফেটে পড়ে পুরো ইতিহাদ স্টেডিয়াম। খেলোয়াড়রা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে মাতেন। কম যাননি কোচ পেপ গার্দিওলাও। ওই দিকে পিনপতন নীরবতা টটেনহাম শিবিরে। মুখের ভাষা যেন হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু হাসি ফিরল রেফারির সিদ্ধান্তে। ভিএআরের সাহায্যে গোলটি যে বাতিল করেছেন রেফারি। অফসাইডে ছিলেন আগুয়েরো। রং বদলে যায় ম্যাচের। এভাবে ম্যাচের প্রতি মুহূর্তেই রং বদলেছে। তবে শেষ হাসি হাসল টটেনহামই।

ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে রহিম স্টার্লিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। কেভিন ডি ব্রম্নইনের পাস থেকে বাঁ প্রান্তে ডি বক্সে ঢুকে দুর্দান্ত এক কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ ইংলিশ ফরোয়ার্ড। গোল শোধ করতে তিন মিনিট সময় নেয় টটেনহাম। সপ্তম মিনিটে ডিফেন্ডারের ভুলে ডি বক্সের সামনে ফাঁকায় বল পেয়ে যান সন হিউং-মিন। আর সে সুযোগ থেকে গোল আদায় করে নিতে কোনো ভুল করেননি এ কোরিয়ান তারকা। তিন মিনিট পর এবার এগিয়ে যায় টটেনহাম। ক্রিস এরিকসনের ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক কোণাকোণি শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সন।

তবে গোল শোধ করতে এক মিনিটের বেশি সময় নেয়নি সিটি। একাদশ মিনিটে ডি ব্রম্নইনের ক্রস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লক্ষ্যে শট নেন বেরনার্দো সিলভা। ড্যানি রোজের পায়ে লেগে দিক বদলে জালে জড়ায় সে শট। ২১তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় সিটি। ডান প্রান্ত থেকে আগুয়েরো গোলমুখে ক্রস দেন। আলতো টোকায় সে বল জালে জড়ান স্টার্লিং। ৪৩তম মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করতে পারতেন সন। এরিকসনের পাস থেকে কোণাকোণি জোরালো এক শট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৫০তম মিনিটে টটেনহামের ত্রাতা গোলরক্ষক হুগো লরিস। ডেভিড সিলভার পাস থেকে লক্ষ্যে শট নিয়েছিলেন স্টার্লিং। সে শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন টটেনহাম গোলরক্ষক। চার মিনিট পর আবারো টটেনহামকে রক্ষা করেন তিনি। এবার ডি ব্রম্নইনের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন এ ফরাসি। ৫৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় সিটি। ডি ব্রম্নইনের পাস থেকে ডান প্রান্তে দুর্দান্ত এক কোণাকোণি শটে বল জালে জড়ান আগুয়েরো। কিন্তু ৭৩ মিনিটের সিটির হাসি কেড়ে নেয় টটেনহাম। ব্যবধান কমায় তারা। যে গোলের সুবাদে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় দলটি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে টবি অল্ডারওয়েরেল্ডের হেড লোরেন্তের গায়ে লেগে বল জালে জড়ায়। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।

৭৯ মিনিটে কাইল ওয়াকারের ক্রস থেকে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন আগুয়েরো। কিন্তু সে যাত্রা আরও একবার দলকে রক্ষ করেন হুগো লরিস। ৮৫ মিনিটে লড়ে সানে হেড থেকে ফাঁকায় শট নিয়েছিলেন গুন্ডুগান। কিন্তু লক্ষ্যে থাকেনি। ফলে জিতেও মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<46000 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1