শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাঁজাখোর এক বাস্কেটবল অলিম্পিয়ান!

ক্রীড়া ডেস্ক
  ২৫ মে ২০১৯, ০০:০০
ল্যামার ওডম

এতদিন পরে এসে সত্যতা স্বীকার করলেন ল্যামার ওডম। আমেরিকার বাস্কেটবলের বেশ নামিদামি তারকাই তিনি। ২০০৪ সালের যে অপকর্ম করেছিলেন সেটা স্বীকার করলেন ২০১৯-এ এসে। ৩৯ বছর বয়সী আমেরিকার এই বাস্কেটবল তারকার আত্মজীবনী বের হয়েছে। নামটা বেশ- 'ডার্কনেস টু লাইট।' বাংলা করলে- অন্ধকার থেকে আলোয়।

নিজের ক্যারিয়ারের অন্ধকার দিক এই আত্মজীবনীতে অকপটে তুলে ধরেছেন ল্যামার। সেই সত্যতায় আছে একেবারে চমকে দেয়ার মতো তথ্য। ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ জনের বাস্কেটবল দলের সদস্য ছিলেন। তবে সেই অলিম্পিকে যাওয়ার আগে যে ড্রাগ টেস্ট দিয়েছিলেন সেটা ছিল পুরোপুরি ভুয়া। কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে সেই দফা ড্রাগ টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ল্যামার।

অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা ল্যামারের সেই জীবনী তার আত্মকথন ঠিক এরকম, 'যখন শুনলাম আমি এথেন্স অলিম্পিকে বাস্কেটবলের দলে সুযোগ পেয়েছি, প্রথমেই তখন আমার আনন্দ হওয়ার চেয়ে টেনশনই বেশি হলো। আরে আমি ড্রাগ টেস্টে উতরাবো কিভাবে? আমি নিশ্চিত ড্রাগ টেস্টে ধরা খাব। সবাই দলে সুযোগ পেয়ে আনন্দ করছে। আর আমার আনন্দ শেষ ড্রাগ টেস্টের দুঃশ্চিন্তায়! অলিম্পিকের এক কর্মকর্তা আমাকে জানালো ড্রাগ টেস্টের সামনে সবাইকে দাঁড়াতে হবে। আমার তো গালে হাত! আমার ড্রাগ টেস্টে পাস করার সম্ভাবনা শতকরা শূন্য ভাগ। আমি তো তখন প্রতিদিনই গাঁজা খাই, চরস খাই! কি করবো, ঠিক ভেবে উঠতে পারছিলাম না।

উপায় খুঁজতে গিয়ে গুগল ঘাঁটলাম। সেখানেই সমাধান পেলাম। ড্রাগ টেস্ট কিভাবে এড়াতে হয় সেই উপায় খোঁজার চেষ্টায় নামলাম। এই বিষয়ে বেশকিছু সময় পড়াশোনার পেছনেও ব্যয় করলাম। সমাধান একটা পেয়েও গেলাম। অনলাইন থেকে কৃত্রিম লিঙ্গের অর্ডার দিলাম। তারপর তাতে অন্য আরেকজনের মাদকমুক্ত মূত্র ভরে শরীরের সঙ্গে লাগিয়ে রাখলাম। ড্রাগ টেস্টের জন্য যে লোকটি এসেছিল সে আমার কয়েকফুট দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি একটু আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে তাকে সেই মূত্রের নমুনা দিলাম। কর্মকর্তা গোছের লোকটি বিন্দুমাত্র সন্দেহ না করে একটা কাপের মধ্যে সেই নমুনা রেখে তাতে থার্মোমিটার চুবিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করে। সন্তুষ্টচিত্তে সেই কর্মকর্তা জানালো- হঁ্যা এটা আমার শরীরের মূত্রেরই নমুনা। আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে সে বলল- যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দলে তোমাকে স্বাগত।'

এভাবেই ড্রাগ টেস্টকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এথেন্স অলিম্পিকে যান ল্যামার ওডম। সেই অলিম্পিকে বাস্কেটবলে খুব ভালো কোনো ফল করতে পারেনি আমেরিকা। ব্রোঞ্জ পদক পায় তারা। এখন প্রশ্ন হলো- এতদিন পরে ল্যামার ওডম যখন স্বেচ্ছায় নিজের দুনম্বরী স্বীকার করে নিচ্ছেন তাহলে কি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আমেরিকার সেই ব্রোঞ্জ পদক কেড়ে নেবে?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<51026 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1