ভারত
১৯৮৩ এবং ২০১১-এর চ্যাম্পিয়ন।
২০০৩ বিশ্বকাপের রানার্সআপ।
১৯৮৭, ১৯৯৬, ২০১৫ এর সেমিফাইনালিস্ট।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই এবারের আসরের শিরোপার অন্যতম দাবিদার ভাবা হচ্ছিল দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে। গ্রম্নপ পর্বে দাপটের সঙ্গে খেলে সে ভাবনাকে আরও জোরালো করেছে কোহলির টিম ইন্ডিয়া বাহিনী। সর্বশেষ শনিবার লংকানদের উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষে থেকেই গ্রম্নপ পর্বের খেলা শেষ করেছে তারা। এ মুহূর্তে ওয়ানডের্ যাংকিংয়েও শীর্ষস্থানে কোহলিরা।
ভারতের এ সফলতার পেছনে কোনো 'ওয়ানম্যান আর্মি' নয় বরঞ্চ দলীয় নৈপুণ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ব্যাটিংয়ে যেমন রোহিত, রাহুল, কোহলিরা ছড়ি ঘুরিয়েছেন, তেমনি বোলিংয়েও বুমরাহ, শামি আর কুলদীপরা তছনছ করে দিয়েছেন বিপক্ষ দলের ব্যাটিং লাইনআপ। তাই বলা যায়, গ্রম্নপ পর্বের মতো শেষ চারেও তাদের সেরাটা দিতে পারলে যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই জেতা মুশকিল হবে।
অস্ট্রেলিয়া
১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০০৩,
২০০৭, ২০১৫
সর্বমোট পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন।
১৯৭৫, ১৯৯৬ সালে রানার্সআপ।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাজির দরে অস্ট্রেলিয়া খুব একটা ওপরে ছিল না। কিন্তু বল মাঠে গড়াতেই পাশার গুটি উল্টে গেছে। প্রথম দল হিসেবে গ্রম্নপ পর্বের মাঝপথেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে টিম অস্ট্রেলিয়া। তবে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যাওয়ায় শীর্ষস্থান হারাতে হয়েছে ফিঞ্চবাহিনীকে। ৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত অজিরা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওয়ার্নার যেমন তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন, তেমনি ফর্মে ফিরলে কতোটা ভয়ংকর হতে পারেন অধিনায়ক ফিঞ্চ সেটাই দেখাচ্ছেন। আর তাদের বোলিং আক্রমণ কেমন তা মিচেল স্টার্করা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে। তবে আসল লড়াই শুরু হবে এখন। দেখা যাক অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন তকমা ধরে রাখতে পারে কি না।
ইংল্যান্ড
১৯৭৯, ১৯৮৭, ১৯৯২ সালে
রানার্স আপ।
১৯৭৫, ১৯৮৩ এর সেমিফাইনালিস্ট।
শুরুতে খুব সহজ মনে হলেও শেষ পর্যন্ত অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবেই সেমিফাইনালে পৌঁছতে পেরেছে ইংল্যান্ড। চোখ বন্ধ করে সেমিফাইনালে চলে যাবে ইংল্যান্ড, ভেবেছিলেন অনেকেই। কিন্তু লীগ পর্যায়ের মাঝামাঝি আচমকা শ্রীলংকা আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে খাদের কিনারে এসে পড়ে তারা। কিন্তু ভারত আর নিউজিল্যান্ডকে পরপর দুটো ম্যাচে হারিয়ে আবার স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে মরগানের দল।
১৯৯২-এর পর এই প্রথম ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল। যে দল চাপের মধ্যেও এত দুর্দান্ত খেলে দিতে পারে তারা যে সহজে এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছেড়ে দিবে না এটা সহজেই অনুমেয়। বেয়ারেস্টো, রয়, বাটলাররা যেমন ব্যাটিংটা দারুণভাবে সামলাচ্ছেন তেমনি আর্চাররা বোলিংয়েও দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
নিউজিল্যান্ড
সর্বশেষ ২০১৫ সালে রানার্সআপ।
১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৯২,
১৯৯৯, ২০০৭,
২০১১ এর সেমিফাইনালিস্ট।
চার সেমিফাইনালিস্টের মধ্যে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। তবে এবারের আসরে তাদের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। একের পর এক ম্যাচে দোর্দন্ড প্রতাপে জয় ছিনিয়ে নিয়ে শেষমেশ পাকিস্তানের কাছে হেরে 'জয়রথ' থামে কিউই বাহিনীর। শেষদিকে পরপর তিন ম্যাচ হেরে যাওয়ায় শেষ চারে ওঠা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তাদের।
তবে রানরেটের মারপঁ্যাচে পাকিস্তানকে টপকে চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। উইলিয়ামসন বাহিনীর এমন ভরাডুবির পেছনের কারণ তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। অধিনায়ক উইলিয়ামসন আর রস টেলর ছাড়া আর কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। তবে ফার্গুসন, বোল্ট, নিশামদের নিয়ে সাজানো তাদের বোলিং বিভাগ এখনো ভয়ংকর।