কোপা আমেরিকার আগের দুই আসরে তীরে এসে তরী ডুবেছিল ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনার। কারণ দুইবারই যে ফাইনালে গিয়েও শিরোপা বঞ্চিত হয়েছে মেসির দল। এক চিলির কাছেই টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আলবিসেলেস্তদের।
আর এবার সদ্য সমাপ্ত আসরও হতাশা উপহার দিয়েছে আর্জেন্টাইনদের। এবার তো ফাইনালেই উঠতে পারেননি মেসি-মারিয়া-আগুয়েরোরা। যদিও সেই চিলিকে হারিয়েই টুর্নামেন্টের তৃতীয় সেরা দল হয়েছে আকাশি-সাদা জার্সিধারীরা।
কোপার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বিতর্কিত লাল কার্ড দেখাটা কিছুতেই মানতে পারছিলেন না লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনা জিতলেও ম্যাচ শেষে মেডেল নেননি আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। শুধু তাই নয়, পক্ষপাতের অভিযোগ এনে রেফারি ও কনমিবলকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন মেসি। লাতিন আমেরিকার ফুটবল সংস্থাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করে ফেঁসে যেতে পারেন তিনি। কনমিবলের বিরুদ্ধে ওই মন্তব্য করায় দুই বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে মেসিকে!
রোববার স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক এএস এমনই উৎকণ্ঠার খবর দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এএস জানিয়েছে, দুই বছর নিষিদ্ধ হতে পারেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
ব্রাজিলের কাছে সেমিতে হারের পর রেফারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মেসি। চিলির বিপক্ষে প্রথমার্ধে বিতর্কিত লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ মেসি বলেছিলেন, কনমিবল ব্রাজিলকে শিরোপা জেতানোর জন্যই সবকিছু ঠিকঠাক করে রেখেছে।
কয়েক ঘণ্টার মাঝেই মেসির এমন কথার জবাবও দিয়েছিল কনমিবল। এক অফিসিয়াল টুইটে তারা বলেছিলেন, হারজিত মেনে নিয়ে সবার ফুটবলের নিয়মের প্রতি সম্মান জানানো উচিত। আর মেসির এমন মন্তব্যে কোপা ও কনমিবলের প্রতি অসম্মানজনক বলেও বলছে সংস্থাটি।
কনমিবলের নিয়মের ২ ধারার বি ও ডি পয়েন্টে বলা আছে, কেউ যদি সংস্থাটিকে অপমান করে কিংবা খারাপ কিছু বলে, তাহলে তাকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধও করতে পারবেন তারা। যদি মেসির বিরুদ্ধে সত্যিই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাহলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। সে রকম হলে ২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের পুরোটাই মিস করবেন তিনি। একই সাথে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়াতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২০ কোপা আমেরিকাও খেলা হবে না তার।