বিশ্বকাপ শুরুর অনেক আগে থেকেই একটা কথা আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড থেকে ছড়িয়ে পড়ে ক্রিকেটের অলিগলিতে। আর তা হলো, এবারের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। ব্যাটসম্যানরাই প্রভাব বিস্তার করবে টুর্নামেন্টজুড়ে। বোলারদের জন্য কিছুই নেই। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের তিনশ পেরোনো ইনিংস দেখে অনেকেরই সেটা বিশ্বাসে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু যতদিন গড়িয়েছে ততই ভুল প্রমাণিত হয়েছে সেসব। বিশ্বকাপের লাগাম বোলারদের হাতে। আরেকটু সহজ করে বলতে গেলে পেসারদের হাতে। গত দুটি সেমিফাইনালের কথাই ভাবুন না। নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি আর ট্রেন্ট বোল্টদের সামনে কেমন নাকানিচুবানি খেতে হয়েছিল শক্তিশালী ভারতকে। আর গত ম্যাচে ইংল্যান্ডের আর্চার আর ওকসদের বিপক্ষে অসহায় অস্ট্রেলিয়ার রূপটিই যেন বিশ্বকাপে পেসারদের প্রতিচিত্র তুলে ধরেছে।
বিশ্বকাপের এবারের আসরের অন্যতম সফল বোলার আর্চার। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় আছেন। প্রতি ম্যাচেই দলের হয়ে বোলিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে একের পর এক উইকেট তুলে নিতে মরগানের প্রথম পছন্দ আর্চারই। স্বপ্ন ছোঁয়ার ম্যাচে আরেকবার গতির ঝড় উঠুক এ প্রত্যাশা ইংলিশদের। দেখা যাক চাপ সামলে তিনি সফল হতে পারেন কি না।
অন্যদিকে, ২০১৫ বিশ্বকাপের মতো এবারেও নিঃসন্দেহে দলের সেরা বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। দানবীয় গতি আর বোলিং বৈচিত্র্যতায় যেকোনো ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করার ক্ষমতা রাখেন বোল্ট। আসরে শুরুর দিকে তেমন ঝলক দেখাতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক হ্যাট্রিক করেছেন। গত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও ছড়ি ঘুরিয়েছেন এ গতিদানব। পারবেন তিনি সেদিনের মতো জ্বলে উঠতে?