ব্যাটে রান নেই। আউটও হচ্ছেন বাজেভাবে। সব মিলিয়ে ব্যর্থ এক বিশ্বকাপ কাটাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি ওপেনার মার্টিন গাপটিল। ব্যর্থতার বৃত্ত কাটাতে ফাইনালে চোখ রাখছেন কিউই এই ওপেনার। তার আশা, সব হতাশা দূর হয়ে যাবে বিশ্বকাপ ফাইনালের পারফরম্যান্সে।
২০১৫ বিশ্বকাপের সঙ্গে এবারের আসরের কত অমিল গাপটিলের। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের প্রতিযোগিতায় নিউজিল্যান্ডের রানার্সআপ হওয়ার পথে এই ওপেনার করেছিলেন ৫৪৭ রান, যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ২৩৭ রানের ইনিংসটিও আছে। অথচ এবার ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আসরে ৯ ম্যাচে এখন পর্যন্ত ২০.৮৭ গড়ে করেছেন মাত্র ১৬৭ রান! ওপেনিংয়ে তিনি প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হওয়ায় চাপ বেড়ে যাচ্ছে মিডল অর্ডারে।
অথচ কী চমৎকারভাবেই না ২০১৯ বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন মার্টিন গাপটিল। কার্ডিফে শ্রীলংকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলেন হার না মানা ৭৩ রানের ইনিংস। ওই শেষ, এরপর থেকে শুধু হতাশার গল্প। গাপটিলের কাছে ভালো ইনিংসের প্রত্যাশা থাকলেও কিউই সমর্থকদের হতাশই করে চলেছেন প্রতিনিয়ত তিনি। শুধু ভক্তরা কেন, গাপটিল নিজেই তার পারফরম্যান্স নিয়ে খুবই হতাশ!
বাইরে নিউজিল্যান্ডের এই ওপেনারকে নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। সেগুলো কানে না তুললেও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তার মুখে ঝরল হতাশা। এক সাক্ষাৎকারে গাপটিল বলেছেন, 'এটা খুব কঠিন। এসবের (সমালোচনা থেকে) দূরে থাকতে মানুষজনের লেখাপড়া ও তাদের কথা শোনা বাদ দিতে হবে। কিন্তু এরপরও এই পরিস্থিতি থেকে দূরে থাকা কঠিন। লোকজন বলছে, তারা আমাকে নিয়ে হতাশ। কিন্তু কেউ আমার চেয়ে বেশি হতাশ নয়। কারণ, আমি ফর্মে ফেরার পেছনে কতটা খাটছি, সেটা কিন্তু কেউ দেখছে না। এতটা সময় দিচ্ছি, তাও ২২ গজে কিছুই কাজ করছে না, এটা যে কতটা হতাশার সৃষ্টি করে, কী বলব। জানি, সবাই আমাকে নিয়ে বিরক্ত, কিন্তু ওরা কি জানে আমি নিজে কতটা বিপর্যস্ত।'
৫০ ওভারের বিশ্বকাপে গাপটিলের রান এখন ৯৭৬। রোববার লর্ডসের ফাইনালে শুরুটা ভালো হলে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের পর এক হাজার রানের ক্লাবে যোগ দেবেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো পারফরম্যান্স করার দারুণ এক প্রত্যাশা রয়েছে কিউই এই ডানহাতি ওপেনারের,' মাঝে এমন হয়েছিল যে, নেটেও বল ঠিকঠাক মারতে পারছিলাম না। তখন মনে হচ্ছিল, কোথায় যেন খামতি রয়ে যাচ্ছে। তবে গত কয়েকদিন ওই জায়গায় আমি অনেকটা উন্নতি করতে পেরেছি। নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করছি। নেটে ঘামের শেষ বিন্দু ঝরিয়ে অনুশীলন করছি। সবকিছু আগের মতো মনে হচ্ছে। আশা করছি, পরের ম্যাচে সবকিছু একসঙ্গে ধরা দেবে।'