বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
ফতুলস্না ও খুলনার ম্যাচ ড্র

ফিরেই ইমরুলের ডাবল সেঞ্চুরি

নতুনধারা
  ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
খুলনা বিভাগের হয়ে জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডেই ডাবল সেঞ্চুরি (২০২*) হাঁকিয়েছেন ইমরুল কায়েস। জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে থাকা বাঁহাতি ওপেনার এবার নির্বাচকদের নজরে আসার অপেক্ষায় -বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকল উইকেট। কঠিন অবস্থায় থেকেও সাবলীল ব্যাটিং করে গেলেন ইমরুল কায়েস। তাতে জাতীয় ক্রিকেট লিগের একুশতম আসরে প্রথম সেঞ্চুরি এলো এ বাঁহাতির ব্যাটে। শেষটায় বোলারদের নিয়ে লড়ে সেই শতককে নিয়ে গেলেন ডাবল সেঞ্চুরিতেও। ২০২ রান করে থাকলেন অপরাজিত। তাতে খুলনা বিভাগ প্রথম ইনিংসে পায় সাড়ে চারশ পেরোনো সংগ্রহ (৪৫৪)।

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগের বোলারদের নাকানিচুবানি খাইয়েছেন ইমরুল। অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান বাঁহাতি স্পিনার সোহরাওয়ার্দী শুভকে ছয়ের পর চার মেরে ৩১১ বলে পৌঁছান দ্বিশতকের ম্যাজিক ফিগারে। তার ইনিংসে ছিল ১৯টি চার ও ৬টি ছয়ের মার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইমরুলের এটি দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। আগের ইনিংসটি ছিল ২০৪ রানের।

২৯ রানে অপরাজিত থেকে রোববার ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন ইমরুল। তার ডাবল সেঞ্চুরির পরই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। ততক্ষণে স্বাগতিকরা ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৫৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে।

রংপুরের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২২৭ রানে। খুলনার লিডও সমান রানের হলেও খুলনায় ইমরুল কায়েসের ডাবল সেঞ্চুরির ম্যাচ ড্র হয়েছে। ইমরুল কায়েস এই ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন তার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি দিয়ে। দিনের শেষ বেলায় সামান্য সময় ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় রংপুর। দ্বিতীয় ইনিংসে রংপুর এই সময় ৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান তোলার পর খেলার সময় শেষ হয়ে যায়। উভয় দলের অধিনায়ক ম্যাচ ড্র মেনে নিয়ে হ্যান্ডশেক করেন।

ফতুলস্নায় চারদিনের লড়াইয়ে সাড়ে তিন দিনের মতো মাঠে গড়ানো ম্যাচে সবমিলিয়ে উইকেট পড়েছে ৩৫টি। ঢাকা বিভাগ দু'দফায় অলআউট হয়েছে। ঢাকা বিভাগের পেসার সুমন খান ম্যাচে ৭ (৫+২) উইকেট পেয়েছেন। রাজশাহীর স্পিনার তাইজুল ইসলামের ম্যাচে শিকার ৯ (৪+৫) উইকেট। কিন্তু তাও ফতুলস্নায় ড্র ম্যাচের সেরা পারফরমার একজন ব্যাটসম্যান। ঢাকা বিভাগের তাইবুর রহমান। উভয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তাইবুর। রানের সংখ্যাও দু'বারই একেবারে সমানে সমান, ৮৮ করে! প্রথম দফায় দলের ২৯০ রানের মধ্যে তার রান অপরাজিত ৮৮। দ্বিতীয় ইনিংসে দল করল ২৫৪। তাইবুর এবারও ৮৮। দু'বারই সেঞ্চুরি না পাওয়ার দুঃখ নিয়ে ফিরতে হলো তাকে। সম্ভবত সেই কষ্ট কিছুটা পুষিয়ে গেল ম্যাচ সেরার ট্রফি হাতে নিয়ে।

রাজশাহী প্রথম ইনিংসে লিডের লড়াইয়ে পিছিয়ে থেকে শেষ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংও খুব একটা সুখকর কিছু করতে পারেনি। ৬৪ ওভার খেলে ৫ উইকেটে তোলে মাত্র ১০৬ রান। দিনের খেলার সময় শেষ হয়ে যায় বলেই রক্ষা রাজশাহীর। ড্র ম্যাচে রাজশাহীর হয়ে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। প্রথম ইনিংসে ১১ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে সাব্বির বিদায় নিলেন কোনো রান না করেই!

খুলনায় ম্যাচশেষে ইমরুল জানালেন, 'ওদের ফিল্ডার সব বাইরে রাখছিল। আমার সঙ্গী ছিল আল-আমিন। ওরে আগলে রেখে মোটামুটি সব বল মোকাবিলা করে এগিয়েছি। চার-ছয় মেরে এগিয়েছি। বিশ্বাস ছিল সুযোগ নিলে কিছু একটা করতে পারব।'

গত কয়েকদিন খেলার মধ্যে ছিলেন না। ছেলেকে নিয়ে দেশে-বিদেশে ছোটাছুটি করতে হয়েছে। এতসব হ্যাপা সামলে জাতীয় লিগে নামার আগে এসেই বিপ টেস্টেও প্রত্যাশা অনুযায়ী স্কোর করেন। ইমরুল জানান, সংকটের সময়ে দেশের বাইরেও ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে ভোলেননি, 'খেলার মধ্যে ছিলাম না কয়েকদিন। ব্যাটিং অনুশীলন করা হচ্ছিল না। কিন্তু ফিটনেসটা যাতে না পড়ে সেই চেষ্টা করেছি। সিঙ্গাপুরে রাত্রি বেলা বের হয়ে ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। যাতে ফিরেই স্বচ্ছন্দে ব্যাটিংটা করতে পারি। আমার মনে হয় সেটা আমাকে চাঙ্গা রেখেছে।'

সামনে ভারত সফরের আগে দলে জায়গা ফিরে পেতে খেলতে চেয়েছিলেন বড় ইনিংস, 'এখন তো অনেক প্রতিযোগিতা। তরুণরা ভালো করছে। এদের মধ্যে জায়গা করতে হলে সবসময়ই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। নিজের সেরাটা দিতে হবে। বড় রান না করলে আসলে টিকে থাকা মুশকিল। ইচ্ছা ছিল বড় রান করব। অবশেষে সেটা হলো।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<71052 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1